#জেনেভা: বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক দেশগুলিতে করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে ঠিকই৷ কিন্তু টিকা এলেও এখনই গড়ে উঠবে না 'হার্ড ইমিউনিটি'৷ সোমবার এমন আশঙ্কার কথাই শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷
হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলছেন, "সবচেয়ে দুর্বলদের সুরক্ষার স্বার্থে করোনা টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে বটে৷ কিন্তু আমরা ২০২১ সালে গোষ্ঠীবদ্ধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার কোনও পর্যায়তেই পৌঁছাতে পারব না৷ যদি সেটা হয় তাহলে কিছু পকেটে হবে, কয়েক'টা মাত্র দেশে৷ কিন্তু সারা বিশ্বে নয়৷"
চলতি সপ্তাহে ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ইজরায়েল ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, হার্ড ইমিউনিটি বা অনাক্রমতা গড়ে তুলে পুরো জনসংখ্যাকে এই রোগ থেকে সুরক্ষিত করতে ৭০ শতাংশ টিকাকরণ করতেই হবে৷
Media briefing on #COVID19 with @DrTedros https://t.co/kB1H2PFR70
— World Health Organization (WHO) (@WHO) January 11, 2021
হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের পরামর্শদাতা ডাক্তার ব্রুস এলওয়ার্ড জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য সংস্থা আশা করছে যে, জানুয়ারির শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিশ্বের হত দরিদ্র দেশগুলিতেও করোনার টিকা পৌঁছে যাবে৷ সকলে যাতে টিকা পায়, সেজন্য গ্লোবাল কমিউনিটির কথা বলছে তারা৷ এলওয়ার্ড বলছেন, সবচেয়ে দুর্বল জনসংখ্যাকে টিকাকরণ করার জন্য তাঁদের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন৷ তিনি বলছেবন, "আমরা নিজেরা করতে পারব না৷ একট পরিকল্পনা প্রয়োজন৷"
হু-র টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ফান কেরকোভ বলছেন যে, সম্প্রতি বহু দেশে করোনা সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ মানুষের মেলামেশার পদ্ধতিতে বদল আনা৷ তিনি জানালেন, "আমরা যুদ্ধে হেরে গিয়েছি কারণ আমরা গ্রীষ্মকালে এবং বিশেষত ক্রিসমাসে ও নতুন বছরে মানুষের মেলামেশা অনেক বেড়েছে৷ বহু দেশে তার সরাসরি প্রভাব ফেলে করোনা সংক্রমণ বাড়িয়েছে৷"হু জানাচ্ছে যে, এই বছরটা করোনাবিধি মেনেই চলতে হবে৷ শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোওয়া, মাস্ক পরার মতো বিষয়গুলো ভুললে চলবে না৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।