#নয়াদিল্লি : দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা শনিবারই ৯০ হাজার পেরিয়ে গেছে ৷ জম্মু-কাশ্মীর থেকে কেরল, ওড়িশা -বিহার সব জায়গা থেকেই নতুন নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মামলা সামনে আসছে ৷ এই নতুন পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলে বোঝা যাচ্ছে বিদেশ থেকে ফেরা এবং দেশের বিভিন্ন বড় শহর থেকে ফেরা ব্যক্তিরাই নতুন এই সংক্রমণ বয়ে নিয়ে আসছেন ৷ এতদিন যেভাবে গ্রামগুলি করোনার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত ছিল এখন সেখানেও আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাচ্ছে ৷ শহর থেকে যে মানুষরা সংক্রমণ নিয়ে ফিরছেন এবার তারা গ্রামেও সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছেন ৷
দেশের বড় শহরগুলির অবস্থা খুবই খারাপ
এখন সারা দেশের বিভিন্ন বড় শহরগুলির অবস্থা সবথেকে খারাপ ৷ দেশের সংক্রমিত ব্যক্তিদের ৫০ শতাংশ পাঁচটি বড় শহর মুম্বই, দিল্লি, আহমেদাবাদ, চেন্নাই,পুণে থেকে রয়েছে ৷ এই পাঁচ শহরে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৷ দেশে এখনও অবধি ২৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই মৃতের সংখ্যারও পঞ্চাশ শতাংশ এই পাঁচটি শহর থেকেই ৷
পরিযায়ী মজুরদের মৃত্যু হচ্ছে রোজ
কোভিড ১৯ আর তার কারণে হয়েছে লকডাউন ৷ এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থার মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ একে দীর্ঘদিন কাজ ছাড়া অবস্থায় নিজেদের বাড়ি থেকে দূরে আটকে থাকতে হয়েছিল আর এখন একাধিক পথ দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর রোজই আসছে ৷ ফের একবার উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অনেকে ৷ কারণ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হলেও প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক ট্রাকে করে নিজেদের বাড়িতে ফিরছেন ৷ কেউ আবার অটো রিকশাতেও কয়েক শো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন ৷
লাগাতার ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা
দেশে ২২ মার্চে জনতা কারফিউয়ের পরেই ২৪ মার্চ থেকে লাগাতার পর্বে পর্বে লকডাউন চলছে ৷ পরিযায়ী শ্রমিকরা কখনও পায়ে হেঁটে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার কখনও আবার বিভিন্ন ট্রাক ,ট্রেনে চেপে নিজের কাজের জায়গা থেকে ঘরে ফেরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ৷ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনেও ইতিমধ্যেই নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ৷ আর এই শ্রমিকদের অনেকেই শহর থেক শরীরে মারণ করোনা বীজ নিয়ে যাচ্ছেন৷ এবার এরই জেরে আতঙ্কে ভোগা শুরু করেছে গ্রামগুলি ৷