#কলকাতা: নভেল করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা বা প্রতিষেধক কবে দেশে আসবে তা নিয়ে প্রত্যেকেই উদ্বিগ্ন ছিল তবে আগামী ১৩ জানুয়ারি গোটা দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন বা টিকা কোরনা যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রাজ্যগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। দেশের চারটি জায়গায় বিশেষ ভ্যাকসিন হাব প্রস্তুত হয়েছে। এর অন্যতম কলকাতা। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ভ্যাকসিন শহরে এসে পৌঁছালে কত দ্রুত এবং সুষ্ঠভাবে তা প্রয়োগ করা যায় সে নিয়ে প্রস্তুত। প্রসঙ্গত বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরস তৈরি রাখা হয়েছে এই ভ্যাকসিন মজুদ করার জন্য।
শুক্রবারই সোমবার রাজ্যে প্রথম দফার করোনা ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। তবে কোভীশিল্ড না কোভ্যাকসিন,কোন টিকা আসবে,সেই ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতর কিছুই জানায় নি। সূত্রের খবর,সম্ভবত সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া তৈরি কভিশিল্ড টিকাই আসতে চলেছে এই রাজ্যে।
ভ্যাকসিন পৌঁছালে দমদম বিমানবন্দর থেকে তা সরাসরি ভ্যাকসিন ভ্যানে করে বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরে পাঠানো হবে। ভ্যাকসিন এর জন্য মৌলালি স্বাস্থ্য পরিবহন ভবনে মোট চারটি ভ্যাকসিন ভ্যান প্রস্তুত আছে। মৌলালি স্বাস্থ্য পরিবহন ভবনে মোট চারটি ভ্যাকসিন ভ্যান প্রস্তুত। দমদম বিমানবন্দরে যখনই ভ্যাকসিন এসে পৌছবে,সেখান থেকে ভ্যাকসিন ভ্যানে করে সরাসরি বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার স্টোরসে তা পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে পরবর্তীতে রাজ্যের 940 টি কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে এই টিকা।দূরের জেলাগুলিতে এই টিকা ইনসুলেটেড ভ্যানে পৌঁছবে। সেই জেলার ডেপুটি সি এম ও এইচ বা সহ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর তত্বাবধানে রিসার্ভ স্টোরে রাখা হবে এই টিকা।
বিশেষভাবে তৈরি করা এই ভ্যাকসিন ভ্যানগুলোতে ভ্যাকসিন বাটিকা মজুদ রাখার জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখার যন্ত্র তার সঙ্গে মজুদ রাখার গোটা জায়গাটা ইনসুলেশন করা আছে। ভ্যাকসিন বাক্স বন্দী করে এই নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা থাকবে।রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কোন রকম ফাঁকফোকর রাখতে চায় না এই ভ্যাকসিন বণ্টন প্রক্রিয়ায়।
ABHIJIT CHANDA