#কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, আধিকারিক ও শিক্ষা কর্মীদের ন্যূনতম একদিনের বেতন মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার আর্জি রাখলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে লিখিত বিবৃতি দিয়ে আবেদন রেখেছেন উপাচার্য। বিবৃতিতে জানিয়েছেন "দেশে ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এগিয়ে আসার উপায় হিসাবে প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আমাদের সবারই কিছু না কিছু আর্থিক অনুদান দেওয়ার দরকার।" তবে কে কত আর্থিক অনুদান দেবেন তা যেন বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেইল করে জানানো হয় তাও বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে ইমেইল মারফত জানানো হলে কর্তৃপক্ষ বেতন থেকেই সেই টাকা কেটে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেবে। আর্থিক অনুদান দিলে ইনকাম ট্যাক্স এর সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। উপাচার্যের এই আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠন বা জুটা।
বুধবার রাতেই রাজ্যের শিক্ষক- শিক্ষিকা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আধিকারিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন রেখেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা রা অনুদান দিতে শুরু করেছেন। এরই মাঝে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলো আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই শাসকদলের অধ্যাপক সংগঠন "ওয়েবকুপা"এর তরফে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য অধ্যাপক সংগঠনগুলিও তোর জোর করতে শুরু করেছে তোড়জোড় করতে শুরু করেছে।
এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের তরফেও আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে আবেদন রাখা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক- অধ্যাপিকা,আধিকারিক ও শিক্ষা কর্মীদের কাছে। শুক্রবার ই লিখিত আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে। একদিনের বেতন বা যে যা আর্থিক অনুদান দিতে পারবেন তা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কে ইমেইল মারফত জানানো হয় সেই আবেদন রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন " আমরা সবার কাছেই আবেদন রেখেছি।যা অর্থ সংগ্রহ হবে শীঘ্রই আমরা তো মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেব"। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠন।
SOMRAJ BANDOPADHYAY