#বর্ধমান: শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১৪ জন করানো আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে বর্ধমান শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এই শহরে নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় ফের লকডাউন প্রয়োজন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার পর্যালোচনা বৈঠক হতে পারে। সেখানেই তথ্য পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে নতুন করে লকডাউন করা হবে কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, 'আগামী সপ্তাহে আমরা বৈঠকে বসব। তখন ফের লকডাউন প্রয়োজন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।'
বর্ধমান শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে একসঙ্গে ছয় জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছে। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুজন। এছাড়াও শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ড, পঁচিশ নম্বর ওয়ার্ড, সাতাশ নম্বর ওয়ার্ড ও একত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
বর্ধমান শহর লাগোয়া বেলকাশ এলাকাতেও একজনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নতুন করে আক্রান্ত এলাকাগুলিতে কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি করে সেখানে কড়াকড়ি লকডাউন পালন করা হবে। মৃত ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা বাসিন্দাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের আপাতত হোম আইসোলেশন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদেরও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হবে।
করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে চলায় সরকারি অফিসগুলোতে সাধারণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বেশিরভাগই দফতরে না এসে বাড়ি থেকে কাজ সাড়ছেন। বর্ধমান জেলা পরিষদ অফিসে প্রয়োজন বুঝে তবেই সাধারণ মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। অনেক কর্মাধ্যক্ষই আসছেন না। অন্যান্য অফিসগুলোতে সাধারণ বাসিন্দাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বললেই চলে। যারা ঢুকছেন তাদের দেহের তাপমাত্রা মেপে হাত স্যানিটাইজ করার পর তবে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। বর্ধমান পৌরসভা অফিসে সাধারণের সঙ্গে খুব প্রয়োজন ছাড়া আধিকারিকরা দেখা করছেন না।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan, Coronavirus, Lockdown