#লন্ডন: সমস্ত রেকর্ড ভেঙেচুরে যাচ্ছে । সমস্ত দেশের, সমস্ত রেকর্ড ভেঙে এবার একদিনে আমেরিকাতে করোনায় মৃত সাড়ে চার হাজার মানুষ । এই মৃত্যুর হার এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ । মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৬ হাজার ৮০০ জন । গতকাল, বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২৬০০ । আজ, শুক্রবার সেটা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে একলাফে । মোট মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৫ হাজারে । নিউইয়র্ক-কেই এখন কোভিড-১৯-এর এপিসেন্টার বা ভরকেন্দ্র ধরা হচ্ছে ।
বিশ্বে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৷ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১ লক্ষ ৮০ হাজার ৷ তবে করোনা যুদ্ধে সুস্থও হয়ে উঠছেন বহু মানুষ৷ ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষ করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী ৷
মানব সভ্যতা এখন এক সাংঘাতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে ৷ এই করোনা যুদ্ধে হয়তো সবাই জয়ী হবেন একদিন, কিন্তু আতঙ্ক যে আরও বেশ কয়েকবছর থাকবে ৷ তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ ঘাতক এই ভাইরাসকে ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লকডাউন চলছে দেশে দেশে। তবে এতকিছু করার পরেও কিছুতেই রোখা সম্ভব হচ্ছে না মারণ ভাইরাসের সুনামি স্রোত। বিশ্বজুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন কবে থামবে এই ঝড়?
তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যা জানাচ্ছেন, তাতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে ৷ তাঁদের মতে, এই প্রাণঘাতী ভাইরাস আরও চার বছর থাকতে পারে।গবেষকদের মতে, আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকবে করোনা ভাইরাসের হুমকি। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ২০২২ সাল পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হতে পারে। পাঁচজন গবেষকের এই গবেষণা সম্প্রতি একটি সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী দু’বছর টানা এক জায়গায় থেকে ‘সোশ্যাল ডিল্টেন্স’ বজায় রাখতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। তবে যদি করোনার কোনও ভ্যাকসিন এই সময়ের মধ্যে আবিষ্কার না হয় তাহলে এটা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। গবেষকরা আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির দিকে আরও নজর দেওয়া উচিত ৷ যেহেতু ভাইরাসটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।