#হাবরা:মারন রোগ তাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে বহুদিন আগে।প্রতিদিন বাঁচতে ওষুধই একমাত্র ভরসা।লক ডাউন চলছে। বৃহঃস্পতিবার ওষুধ পেতে হবে।গত কয়েক দিন ধরে মছলন্দপুর হাবরা এলাকার এইডসে আক্রান্ত রুগীরা চূড়ান্ত দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
এই এলাকায় ৭০ জনের মত এডসে আক্রান্ত রুগির বাস।তাদের মধ্য ছয় জনকে এদিনই এন্টি রেক্টো ভাইরাল ড্রাগ নিতে হত।তাই গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মছলন্দপুর ফাঁড়িতে গিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা তারা বলেন।ফাঁড়ির ওসি চিন্তামনি নস্কর তাদের আশ্বস্ত করেন।বলেন, ওষুধ তিনি জেলা হাসপাতাল থেকে আনিয়ে দেবেন।কিন্তুু হাসপাতাল থেকে এইডস রুগিদের ওষুধ পুলিশের হাতে দেবে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে বারাসাত জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করেন এইডসে আক্রান্ত রুগীরা।
তারা এই হাসপাতালের এ আর টি দপ্তরে ফোনে যোগাযোগ করে।লক ডাউনের জন্য তারা বাইরে বেড়তে পারছেন না।আবার মারণ রোগের সঙ্গে লড়ার ওষুধ শেষ হয়েছে।কি হব কি দুশ্চিন্তা নিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা জানান তারা বারাসাত জেলা সদর হাসপাতালের এ আর টি দপ্তরে।এঁরাই এইডসের ওষুধ দেন রুগীদের।ফোন তারা জানান, তাদের এলাকার পুলিশ ফাঁড়ি দায়িত্ব নিয়েছে ওষুধ হাসপাতাল থেকে এনে দেওয়ার। হাসপাতালে পুলিশ গেলে তারা কি ওষুধ দেবে।হাসপাতাল তাদের জানান এইডস রুগির নির্দিষ্ট কার্ডটি নিয়ে আসলে পুলিশের হাতে ওষুধ দিয়ে দেওয়া হবে।
এদিন সেই মতো বারাসাত হাসপাতাল থেকে ৬ জন এইডসে আক্রান্তের ওষুধ পুলিশ তুলে নিয়ে যায় মচ্ছলন্দপুর ফাঁড়িতে ।এর মধ্য ৪ জন বারাসাত হাসপাতাল থেকেই ওষুধ পেতেন।আর দুজনের কার্ড ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের।এন্টি রেট্রো ভাইরাল এই ড্রাগ অধিকাংশ রুগীই সেকন্ড লাইনার গ্রাহিতা।ফলে সময় মত ওষুধ না পেলে বড়ই বিপদ ছিল তাদের।নর্থ ২৪ পরগনা লিভিং উইথ এডেসের নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি সমীর বিশ্বাস পুলিশের উদ্যোগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।বলেন, এমন সহৃদয় পুলিশ আছে বলেই এমন কঠিন সময় তাদের সদস্যা জীবনদায়ী ওষুধ টা সময় মত পেলেন।তার এডসে আক্রান্ত রুগিদের পরামর্শ প্রত্যেকে ওষুধ সময় মত পেতে পুলিশের সাহায্য যেন এভাবেই পান।সমীর বিশ্বাসের কথায় মচ্ছলন্দপুরে এডসে আক্রান্ত দের কাছে থানার বড় বাবু চিন্তামনি নস্কর বড় করোনা ফাইটার।
Rajarshi Roy
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Corona outbreak, Corona state lock down, Coronavirus, COVID-19