হোম /খবর /দেশ /
২০২১-এও দেশে থাকবে করোনার দাপট! দেশে বিভিন্ন প্রান্তে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ

২০২১-এও দেশে থাকবে করোনার দাপট! দেশে বিভিন্ন প্রান্তে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ, বলছেন AIIMS-এর ডিরেক্টর

কিন্তু, কেন নতুন করে করোনার হানা? বিশেষজ্ঞদের মতে, একশো চৌত্রিশ কোটি জনসংখ্যার দেশে সংক্রমণ আটকে রাখা মোটেই সহজ কাজ নয়।

  • Last Updated :
  • Share this:

#নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। তাই সামনের বছরের প্রথম দিকেও থাকবে সংক্রমণের দাপট। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন AIIMS-এর ডিরেক্টর। তবে আশার কথা, সবকিছু ঠিক থাকলে বছরের শেষে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে ভারতের হাতে আসতে পারে করোনার ভ্যাকসিন।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙছে সংক্রমণের গ্রাফ। এরই মাঝে, আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন AIIMS-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর অনুমান, তাড়াতাড়ি করোনার সংক্রমণ থেকে নিস্তার পাচ্ছে না দেশ। ২০২১-এও থাকবে করোনার দাপট৷ এখনই করোনার সংক্রমণ থেকে নিস্তার নেই বলেই তিনি মনে করছেন৷ ২০২১-এর প্রথম কয়েকমাস সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে৷ বলছেন AIIMS-র রণদীপ গুলেরিয়া৷ আশঙ্কার এখানেই শেষ নয়। AIIMS-এর ডিরেক্টর জানিয়েছেন, দিল্লিসহ বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে করোনা সেকেন্ড ওয়েভ।

কিন্তু, কেন নতুন করে করোনার হানা? বিশেষজ্ঞদের মতে, একশো চৌত্রিশ কোটি জনসংখ্যার দেশে সংক্রমণ আটকে রাখা মোটেই সহজ কাজ নয়। তাছাড়া, প্রতিদিনই করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়ছে। তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। শুধু বড় শহরই নয়, প্রত্যন্ত এলাকায়ও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকের খামখেয়ালিপনা ও সচেতনতার অভাবও সংক্রমণকে ডেকে আনছে৷

তবে ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী AIIMS ডিরেক্টর। ভারতে তিনটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ট্রায়াল চলছে। গুলেরিয়ার মতে, ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারতে চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২০’র শেষে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী AIIMS-এর ডিরেক্টর।

আরও পড়ুন আগামিকাল লকডাউনে রাজ্যে বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল, এরপরও স্টেশনে যাত্রীরা এলে দায় নেবে না রেল

এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লক্ষ ছুঁইছুঁই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯০হাজার ৬৩২ জন, যা রেকর্ড তো বটেই। তার সঙ্গে বেড়েছে আতঙ্কও৷ এই বৃদ্ধির জেরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮১১ জন। বিশ্ব সংক্রমণের নিরিখে এবার ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত।

সপ্তাহ খানেক আগেই যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ৫০-৬০ হাজারের ঘরে থাকছিল৷ তবে গত সপ্তাহেই ৭০ হাজারের গণ্ডি পেরোয়। আপাতত দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬২ হাজার ৩২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১০৬৫ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০,৬২৬। ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যায় ২ নম্বরে উঠে এসেঠে ভারত। এখনও পর্যন্ত করোনায় সুস্থ হয়েছেন ৩১ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৬৫ জন। এশিয়ার মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৫৪। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ কোটি ৮৮ লক্ষ ৩১ হাজার ১৪৫। আইসিএমআর জানিয়েছে করোনার পরীক্ষা এখন আরও অনেক সহজ হয়েছে ফলে রোগীদের সনাক্ত করা যাচ্ছে দ্রুত।

Published by:Pooja Basu
First published:

Tags: Coronavirus, COVID19