#শিলিগুড়ি: আনলক ৪ শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ আরও কিছু পরিষেবা চালু৷রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লোকের জমায়েতের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তার আগে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে পাহাড়ে। বিশেষ করে দার্জিলিং লাগোয়া একাধিক গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে পর্যটন চালুর পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক পা এগিয়েছে ট্যুর অপারেটার্সরা, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা৷
আজ ছিল অগাস্টের শেষ লকডাউন। সকাল থেকেই স্তব্ধতার ছবি ধরা পড়েছে পাহাড় থেকে সমতলে। শুনশান ছিল সব দিক। সেপ্টেম্বরেও প্রথম দফায় লকডাউনের তিন দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য। আর বাকি দিনগুলিতে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। মাস্ক মাস্ট। আর তা যেন সঠিকভাবে নাক ও মুখ ঢাকে। গলা বা থুতনিতে যেন তার জায়গা না হয়। একই জায়গায় ১৫ মিনিটের বেশি জমায়েত বা আড্ডা নয়। সেইসঙ্গে ঘড়ির কাঁটা দেখে হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার বা সাবান জল দিয়ে হাত ধোওয়া হয়। ন্যূনতম এই স্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে চললেই জেতা যাবে করোনার বিরুদ্ধে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাই বলছেন। আর না মানলে মারণ করোনা ভাইরাস হানা দেবে।
গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের গ্রাফের খুব একটা হেরফের হয়নি। শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ড এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে নতুন করে আক্রান্ত ৯৯ জন৷ এর মধ্যে পুর এলাকায় ৩৬ জনের লালারসের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গ্রামাঞ্চলে সংখ্যাটা ৩৯৷ কার্যত অপরিবর্তিত। যার মধ্যে মাটিগাড়ায় ১৭ জন, নকশালবাড়িতে ১৩ জন, ফাঁসিদেওয়ায় ৫ জন এবং খড়িবাড়িতে আক্রান্ত ৪ জন। পাহাড়ে আক্রান্ত ২৪ জন। এর মধ্যে বিজনবাড়ি পুলবাজারেই আক্রান্ত ১৫ জন৷ এর আগেও পাহাড়ি এই গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর আক্রান্তের খোঁজ মেলে। সুখিয়াপোখরি ও তাগদায় আক্রান্ত ৩ জন করে। কার্শিয়ং পুর ও গ্রামীণ এলাকা মিলিয়ে আক্রান্ত ২ জন। শৈলশহর দার্জিলিংয়ে আক্রান্ত ১ জন।
অন্যদিকে সুস্থতার হার বেশ ভাল। অন্যদিনের মতোই আজ শিলিগুড়ির দুই কোভিড স্পেশাল হাসপাতাল ও হোম আইশোলেশনে থেকে কোভিড জয় করেছেন ৫৬ জন। যা বাড়তি সাহস জোগাচ্ছে৷
PARTHA PRATIM SARKAR
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus