#কলকাতা: চলছে লকডাউন। গৃহবন্দি গোটা দেশ। তারই মধ্যে করোনা আক্রান্ত বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে সংবাদপত্রের ভূমিকা নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী প্রভূত প্রশংসা করলেও গৃহস্থরা আতঙ্কিত। শহরের অনেক জায়গাতেই বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ দেওয়া বন্ধ করেছে হকাররা। তাতে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন ৷ কারণ বিশ্বজুড়ে যখন বিপর্যয় চলছে ৷ তখন খবরের কাগজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস ৷ সেটা সকালে হাতে না পেলে অনেকেরই ভাল লাগছে না ৷ এর পাশাপাশি সময় কাটানোর জন্যও খবরের কাগজ অত্যন্ত ভাল একটা জিনিস ৷
তবে খবরের কাগজ নিয়ে অনেকের মনেই একটা আতঙ্ক রয়েছে ৷ সেটা হল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া এই নিউজপেপার থেকেই আবার সংক্রমণ ছড়াবে না তো ? হাতে গ্লাভস পরে হকাররা কাগজ সরবরাহ করলেও গৃহস্থরা আতঙ্কিত, যদি ছড়িয়ে যায় ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস! মুম্বই সহ বেশ কয়েকটি শহরে দৈনিক খবরের কাগজের প্রকাশনা আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়েছে ম্যাগাজিন ছাপার কাজও। কিন্তু এ ব্যাপারে অভয় দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO) ৷ তাদের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, খবরের কাগজ থেকে কোভিড-১৯ হওয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ, তা ছাপা হয় পুরো যান্ত্রিক ব্যবস্থায়। প্যাকেটও তৈরি করা হয় মেশিনের মাধ্যমেই। শুধু খবরের কাগজ নয়, ডাকে পাঠানো বা অনলাইনে অর্ডার করা পণ্যের প্যাকেট নিয়েও আশঙ্কার কিছু দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সরকারও সংবাদপত্রকে লকডাউনের আওতার বাইরে রেখেছে, দুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় মাছ-মাংসের মতোই। হু-র বক্তব্য,কেউ একজন সংক্রমিত হলেও তাঁর থেকে প্যাকেটে বা খবরের কাগজে নোভেল করোনাভাইরাস লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তা ছাড়া, এই ধরনের প্যাকেট ও সংবাদপত্র বহু এলাকা ও নানা রকম তাপমাত্রা পার করে পৌঁছয়। এ কারণে ওই সব প্যাকেটের বা কাগজের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus