#বেজিং: এবার আইসক্রিমের মধ্যে করোনা! না কোনও গ্রাফিক্স বা গল্পের প্লট নয়৷ বাস্তবে এমনটাই হয়েছে চিনে৷ সে দেশের বেশ কিছু জায়গায় আইসক্রিমের মধ্যেই হদিশ পাওয়া গিয়েছে এই মারণ ভাইরাসের৷ এই ঘটনায় আতঙ্কে বুক কেঁপেছে চিনের৷ তিয়ানজিন ডাকাইওয়াডাও ফুড কোম্পানির তৈরি তিনটি আইসক্রিমে মিলেছে করোনা ভাইরাসের সন্ধান৷
তিয়ানজিন মহামারী বিরোধী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থার ৪ হাজার ৮৩৬টি বাক্স 'কোভিড কন্টামিনেটেড' (করোনা সংক্রমিত)৷ এর মধ্যে ২ হাজার ৮৯টি বাক্স সিল করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে৷ বাজারে যে ২ হাজার ৭৪৭টি বাক্স বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছিল তার মধ্যে ৯৩৫টি বাক্স করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার সময় তিয়ানজিনেই ছিল৷ মাত্র ৬৫টি বিক্রি হয়েছে৷
তিয়ানজিন ডাকাইওয়াডাও জানিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬২ জন কর্মচারীকে নিউক্লেয়িক অ্যাসিড পরীক্ষার পরেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে৷ এদের মধ্যে ৭০০ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে৷ বাকি ৯৬২ জনের রিপোর্ট এখনও আসেনি৷
এখন প্রশ্ন আইসক্রিম কীভাবে করোনা 'সংক্রমিত' হতে পারে! মনে করা হচ্ছে আইসক্রিমের ঠান্ডা তাপমাত্রাই এর অন্যতম কারণ৷ এর পাশাপাশি কোনও এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমেই এই মারণ ভাইরাস আইসক্রিমে বাসা বেঁধেছে৷ তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, দুই-তিনটি আইসক্রিমের মধ্যে ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে মানে এই নয় যে, সমস্ত আইসক্রিমই করোনা সংক্রমিত৷
লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ ডাক্তার স্টিফেন গ্রিফিন এই প্রসঙ্গে স্কাই নিউজকে বলছেন, "সব আইসক্রিমই যে করোনা সংক্রমিত এমনটা ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই৷ সম্ভবত প্রোডাকশন প্ল্যান্টের স্বাস্থ্যবিধি নিচু মানের৷" গ্রিফিনের মতে আইসক্রিমের তাপমাত্রা কম হওয়া এবং অতিরিক্ত ফ্যাট থাকায় ভাইরাসটি এতদিন বেঁচে থাকতে পেরেছে৷
করোনার আঁতুরঘর বল চিহ্ণিত চিন৷ ওখানকার উহান শহরে বেশিরভাগ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বছরের শেষে। চিনে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮,২২৭ (অ্যাক্টিভ কেস ১২০৫)৷ মৃত্যু হয়েছে ৪,৬৩৫ জনের৷ সুস্থ হয়েছে ৮২,৩৮৭৷