#বর্ধমান: করোনার সংক্রমণের উদ্বেগের দিন পার করে আজ শুক্রবার রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও কোভিড ভ্যাকসিনের ড্রাই রান হবে। এজন্য জেলায় সব রকমের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ভ্যাকসিন এলে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই মহড়ার ব্যবস্থা বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার তিনটি হাসপাতালকে এই কোভিড ভ্যাকসিনের ড্রাই রানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বর্ধমান শহরের ঝুরঝুরে পুল হাসপাতাল ও ভাতার গ্রামীণ হাসপাতাল করোনা ভ্যাকসিনের এই ড্রাই রান অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি কালনা মহকুমা হাসপাতালেও সফলভাবে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান নিশ্চিত করতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় বলেন, প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তাই ড্রাই রানে পঁচিশ জন করে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের ভ্যাকসিন দেওয়ার মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক মহম্মদ এনাউর রহমান বলেন, ড্রাই রান সম্পূর্ণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেই ড্রাই রান চলার সময় জেলাশাসক নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলার অন্যান্য অংশের পাশাপাশি কালনা মহকুমা হাসপাতালেও এই ড্রাই রান অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত পঁচিশ জনকে বাছাই করা হয়েছে। এসএমএসের মাধ্যমে তাদের কাছে সেই সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এজন্য হাসপাতালে তিনটে ঘর নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ভ্যাকসিন নিতে আসা ব্যক্তিরা তাঁদের পরিচয় পত্র দেখাবেন। সেই পর্ব মিটিয়ে তাঁরা ওয়েটিং রুমে বসবেন। এরপর তাঁরা যাবেন ভ্যাকসিনেশন রুমে। সেখানে ভ্যাক্সিনেটর থাকবেন। ভ্যাকসিন নিতে আসা ব্যক্তিদের নাম পরিচয় সহ যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আধঘন্টা তাঁরা অন্য ঘরে অপেক্ষা করবেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা সেখানে দেখে নেওয়া হবে। বাড়ি ফিরে যাবার পরও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। সেখানেও যদি কোনও সমস্যা হয় তবে তৎক্ষণাৎ তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করতে পারবেন। এ জন্য জরুরি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।
Saradindu Ghosh