হোম /খবর /কলকাতা /
করোনাকে ভয় নয়, জয় করতে হবে! এভাবেই করোনাজয়ীরা মানুষকে সচেতন করলেন, দিলেন মাস্ক

করোনাকে ভয় নয়, জয় করতে হবে! এভাবেই করোনাজয়ীরা মানুষকে সচেতন করলেন, দিলেন মাস্ক

করোনাজয়ীরাই সচেতনতা গড়ে তুলছেন৷

করোনাজয়ীরাই সচেতনতা গড়ে তুলছেন৷

উত্তর কলকাতার বাসিন্দা রবি পাল ও সনৎ ঘোষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় পর তাঁরা সেরে উঠেছেন।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: করোনার সঙ্গে লড়াই করে যাঁরা জিতে ফিরেছেন তাঁরাই এবার মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব তুলে নিলেন নিজেদের কাঁধে। এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে, মানুষের ভয় কাটাতে প্রচার শুরু করলেন করোনা জয়ীরা। মাস্ক না পরে রাস্তায় ঘোরা, সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে এবার রাস্তায় নামানো হলো করোনা জয়ীদের।

কুমোরটুলি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোগে অভিনব এই সচেতনতামূলক প্রচারের আয়োজন করা হয়।

উত্তর কলকাতার বাসিন্দা রবি পাল ও সনৎ ঘোষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় পর তাঁরা সেরে উঠেছেন। রবিবার তাদের মাধ্যমেই করোনা সচেতনতার প্রচার চালানো হয়। রাস্তায়-বাজারে ঘুরে তাঁরা মানুষকে সচেতন করেন। জানান, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্বও। সনৎবাবু বলেন, "করোনাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়ম মানলেই খুব সহজেই এই রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অযথা আতঙ্কিত হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। সেজন্যই চিকিৎসকদের দেওয়া সমস্ত গাইডলাইন ঠিকমতো মানতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। তবে রাস্তায় প্রয়োজনে ভিড় করলে কিংবা বাজারে ভিড় জমালে এই রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।"

আরেক করোনা জয়ী রবি পাল বলেন, "কেউ করোনা আক্রান্ত হলে সমাজ এখন তাঁদের এক ঘরে করে দেয়। তাঁদের কোনও প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে চায় না। আমার ক্ষেত্রেও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করোনার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান। করোনা রোগীর সঙ্গে নয়। বরং কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের পাশে থাকুন। সাহস জোগান। এই রোগ যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে আজ না হয় কাল প্রত্যেকেরই হবে। তাই কাউকে সামাজিকভাবে বয়কট করে দেওয়া অন্যায়।"

এদিন করোনা রোগীদের নিয়ে মানুষকে সচেতন করার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল কেউ আক্রান্ত হলে তাঁকে যেন সামাজিক বয়কট করা না হয়। তা বোঝাতেই করোনাজয়ীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। কুমোরটুলি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির  আহ্বায়ক দেবাশীষ ভট্টাচার্য বলেন, "করোনা রোগীরা যখন হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন তারপর তাঁর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে। তাঁরা যখন ফিরে আসছেন তখন তাঁদেরকে অবজ্ঞার চোখে দেখছেন মানুষ। আসলে আমরা রোগটাকে উপেক্ষা করব, মানুষকে নয়। এইভাবে করোনা থেকে মুক্ত হয়ে যাঁরা বাড়িতে এসেছেন তাঁদের প্রত্যেককে নিয়ে আমরা এভাবে সচেতনতামূলক প্রচার করব।  যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে।"

Sujoy Pal

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Corona Survivors, Coronavirus