নয়াদিল্লিঃ আরও দু'সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন। তবে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে মিলবে শর্তসাপেক্ষ ছাড়। কেন্দ্রের বিবৃতি অনুযায়ী, ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন বেড়ে গেল।
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশজুড়ে লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)-সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি সামগ্রিক পর্যালোচনার পর লকডাউনের ইতিবাচক প্রভাব একপ্রকার স্পষ্ট। তাই ভারত সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চিহ্নিত রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জ়োনের কোথায় কতটা ঝুঁকি রয়েছে, কী করনীয় বা কীসে নিষেধাজ্ঞা, তার গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউন চলাকালীন অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে বেশ কিছু ছাড়ের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেসবও উল্লেখও রয়েছে গাইডলাইনে।
এদিকে, কনটেইনমেন্ট জোনের আওতায় থাকা এলাকাগুলিতে বাড়ি বাড়ি পর্যবেক্ষণ চলবে। কড়া হাতে লকডাউন পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কনটেইনমেন্ট জোনের প্রতিটি মানুষের ফোনে যাতে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইনস্টল করেন, তা স্থানীয় প্রশাসনকে নজর দিতে হবে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে জরুরি কাজ ছাড়া সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত রাস্তায় না বেরনোই কাম্য। স্থানীয় প্রশাসনকে এই সময় প্রয়োজন হলে কার্ফু জারি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংক্রমণ এড়াতে পঁয়ষট্টি ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, গর্ভবতী মহিলা ও ১০ বছরের কম বয়সের যেন যাতে না বেরোন দরকার ছাড়া, তা দেখতে হবে প্রশাসনকে।
তবে আগামী ৪ মে থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় দফার এই লকডাউনেও সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বিমান, রেল এবং মেট্রো পরিষেবা। এমনকি আন্তঃরাজ্য যাতায়াতেও নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, সিনেমা হল, স্টেডিয়াম সবকিছুই আগামী ১৭ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: 2 week, Corona Pandemic, Lockdown extension