#শিলিগুড়ি: ফের গ্রাফ নামল। তবে স্বস্তিদায়ক নয় সংখ্যাটা। গত দু'দিন তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্রই গ্রাফ নেমেছে। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ১৫০-এ। তার তুলনায় সংখ্যাটা কমেছে। তবে আরও সাবধানতা মেনে চলতে হবে। তবেই আসবে স্বস্তি। বাজারে বাজারে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। সঙ্গে মাস্ক মাস্ট। আর ঘরে ফিরে ঘড়ির কাঁটা দেখে সাবান জলে হাত ধুতে হবে। এই ন্যূনতম স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললেই মিলবে সাফল্য। বলছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
প্রতিদিনই শহরজুড়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে আসছে কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের সদস্যরা। যেখানে রয়েছেন কোভিড জয়ী চিকিৎসক-সহ সমাজের কিছু মানুষ। শিবিরগুলোয় লোক হচ্ছে। শুনছেও। তারপর তা প্রয়োগ করলেই মিলবে সুরাহা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। আর তাই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থতার হারও ভাল। শিলিগুড়ির দুই কোভিড হাসপাতাল এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন ৬৪ জন। যা দিনের শেষে স্বস্তি এনে দেয়। আর এই সময়ে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতলের গ্রামীন এলাকা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮। এর মধ্যে পুরসভায় সংখ্যাটা ২৮। যা কিছুটা হলেও স্বস্তির।
এ দিকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও শুরু হয়েছে। গ্রামের চার ব্লক মিলিয়ে নতুন করে আক্রান্ত ২৪ জন। যার মধ্যে মাটিগাড়ায় ১১ জন, নকশালবাড়িতে ১০ জন এবং খড়িবাড়িতে ৩ জন আক্রান্ত। ফাঁসিদেওয়ায় কোনও পজিটিভ হওয়ার খবর নেই। আর পাহাড়ে আক্রান্ত ২৬। দার্জিলিং পুর এলাকায় ৫ জন, সুকনায় ৩ জন, পুলবাজারে সর্বাধিক ১১ জন, তাকদায় ৪ জন, মিরিকে ২ জন এবং সুখিয়াপোখরিতে আক্রান্ত ১ জন। সবমিলিয়ে গ্রাফ কিছুটা নামলেও স্বস্তির নয়।
Partha Sarkar