#কলকাতা: পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকারি ত্রাণ শিবিরে থাকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। বীরভূমের সাঁইথিয়াতে এসে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। যাবার সময় তিনি বলেন, ‘প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক আসছে, তাদের জামাই আদর দেওয়া সম্ভব নয়। কাউকে মাছ দিলে সে মাংস চাইছে।’ জেলায় জেলায় কোয়ারান্টিন সেন্টারে ক্ষোভ-বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলে বিতর্কে জড়ালেন শতাব্দী রায়। তৃণমূল সাংসদের নিন্দায় একজোট ডান-বাম, সব পক্ষ।
কেউ নিজে, আবার কেউ সরকারি সহায়তায় নিজের ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। বীরভূম জেলায় তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে তাঁদের খাবার, থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। পর্যাপ্ত খাবার মিলছে না বলেও অভিযোগ করছেন কোনও কোনও জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকরা। কোথাও জল-বিদ্যুৎ নেই। কোথাও আবার সময়মতো মিলছে না খাবার। সরকারি কোয়ারান্টিন সেন্টার নিয়ে জেলায় জেলায় ক্ষোভ বাড়ছে পরিযায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলে বিতর্ক বাড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। প্রশাসন তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বুঝিয়ে রাখছে এরই মধ্যে এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের।
শনিবার বীরভূমের আমোদপুরে সাঁইথিয়া বিডিও প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ। সেখানে ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে বেরনোর পর পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকরা সবাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে জামাই আদর পেতে চাইছেন, তা দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এক সঙ্গে এত জন রয়েছেন, কেউ মাছ পেলে বলছেন মাংস পাইনি, কেউ মাংস পেলে বলছেন ডিম পাইনি। এভাবে কী করা যাবে! বাড়িতে এক জন আসা আর হাজার জন একসঙ্গে আসা তো এক ব্যাপার কখনই হতে পারে না।" পরিযায়ী শ্রমিকদের একটু মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে শতাব্দী রায়ের এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক উঠতে শুরু করেছে।
Supratim Das
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Corona outbreak, Corona state lock down, Coronavirus, Covid ১৯, Migrant labour, Migrants From Bengal, Satabdi Roy, TMC MP Satabdi Roy