#শিলিগুড়ি: ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকা পুরো লকডাউন! আগে থেকেই এই বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ১৪টি ওয়ার্ড লকডাউনের আওতায় রয়েছে। গত ১৬ জুলাই থেকে লকডাউন চলছে এই ওয়ার্ডগুলোতে। এবারে বিধানসভার চারটে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চালু হচ্ছে পূর্ণ লকডাউন।
ডাবগ্রাম ১ ও ২ এবং ফুলবাডি ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পূর্ণ লকডাউন শুরু হচ্ছে আজ সন্ধ্যে ৬টা থেকে। চলবে টানা ১০০ ঘন্টা। অর্থাৎ ৩০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত। এর আগে এই চার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কন্টেইনমেন্ট জোনে চলছিল লকডাউন। কিন্তু তাতেও সংক্রমণ রোখা যায়নি। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছিল সংক্রমণ! স্থানীয় বাসিন্দারাই লকডাউনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করছিলেন। তারপরই জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। পরে তিনি লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন। জলপাইগুড়ির জেলাশাসকও নির্দেশিকা জারি করেন।
সেইমতো আজ চার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বাসিন্দাদের অবগত করা হয়। মন্ত্রী জানান, কড়া লকডাউন হবে। একমাত্র ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। এই চার গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় একাধিক বাজার ও হাট রয়েছে। অভিযোগ সেখানে সোশ্যাল ডিস্টেনশিং যেমন মানা হয়নি। তেমনি মাস্কেও মুখ ঢাকা পড়েনি অনেকেরই। আর ন্যূনতম স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলার মাশুল আজ গুনতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকালও একাধীক ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে ডাবগ্রাম সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটলিয়নের এক পুলিশ কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী এই বিধানসভা এলাকায় একাধীক আক্রান্তের মৃত্যুও হয়েছে। আর তাই সময় না নিয়ে জেলা প্রশাসন টানা ১০০ ঘন্টার লকডাউনের পথেই হেঁটেছেন। এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি রাখা হবে। আক্রান্তের গ্রাফ নামলে ভালো। নইলে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনায় বসবে প্রশাসনিক কর্তারা।
Partha Pratim Sarkar