#কলকাতা : গোটা দেশের পাশাপাশি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির। দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ,কমছে সুস্থতা। নির্বাচনের আবহে শিকেয় উঠেছে কোভিড বিধি নিষেধগুলিও। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে ঠেকানো যাবে না দ্বিতীয় ঢেউ। তাই নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত গাইডলাইনগুলি মেনে চলার পরামর্শ দেন মুখ্য সচিব। তিনি বলেন, "করোনা বাড়ছে, আপনারা সতর্ক থাকুন। কিছু জেলাতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভোটগ্রহণ শুরু হবে তাই দ্রুত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।" একইসঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি সিল করা ও প্রয়োজনে নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। নির্বাচনের আগে ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া বাঁকুড়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকদের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। ইতিমধ্যেই চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ যে যে আসনগুলিতে হবে সেই জায়গায় কোভিড সংক্রান্ত সব জিনিস পৌঁছে গেছে বলেই এদিন এই ভার্চুয়াল বৈঠকে জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সচিব। পাশাপাশি বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।
এদিকে রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ একদিনেই পেরিয়ে গেল চারশোর গণ্ডি! স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২২ জন, শনিবার এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫০। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তুলনায় অনেক কম সুস্থ হওয়ার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২৯৫ জন করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে সুস্থতার হার রাজ্যে ৯৭.৬২ শতাংশ। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০,৬৬৫ টি। এর মধ্যে ৬.৪৮ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ। সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাই এখনও সবচেয়ে এগিয়ে। এখানে এখনও অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪০০। তার ঠিক পিছনেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। করোনাযুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে কালিম্পঙ ও ঝাড়গ্রাম।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।