#কলকাতা: হু হু করে আক্রান্ত হচ্ছে রাজ্যবাসী। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠছে, ফের কি পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটবে রাজ্য? শনিবার মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন, আপাতত এমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তাঁর আশ্বাস, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার কলকাতাতেই দু'টি নতুন সেফ হোম অধিগ্রহণ করেছে। এই নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছিল। অনেকেই প্রশ্ন করছিলেন, পরিস্থিতি কী হাতের বাইরে চললে গিয়েছে? রাজীব সিনহা এদিন এই বিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে দিয়ে আশ্বস্ত করেন। তিনি দেখান, রাজ্যের ১৫ হাজার আক্রান্তের ৭২ শতাংশের শরীরেই কোনও উপসর্গ নেই। তিনি জানান, সরকারি হাসপাতালে এই মুহূর্তে মোট ১১ হাজার বেড রয়েছে, এর বাইরে তৈরি রয়েছে সেফ হোম। রাজীব সিনহা আরও জানান, রাজ্যে মৃত্যুর হারও কমছে। এই মুহূর্তে মৃত্যুর হার ২.৭ শতাংশ।
As on today, out of 14,709 active COVID cases in WB, only 662 patients are in serious category,1250 are moderate. That means only1912 patients need to be in hospital in entire https://t.co/jjdWpHrVQr 12,796 are asymptomatic or mildly symptomatic(87%) and so no need to panic(1/2)
— HOME DEPARTMENT - GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) July 18, 2020
রাজীব সিনহা এ দিন করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জানান, হু-এর স্বাস্থ্যবিধি ১০ লক্ষে ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করার কথা বলছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ১৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
Our testing rate per million is144,above the threshold of 140 of WHO. COVID related death rate of the State is 2.76 (2/2)
— HOME DEPARTMENT - GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) July 18, 2020
প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতার কন্টেইনমেন্ট জোন ২৪ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা হয়। নবান্নের বৈঠক থেকে শনিবার বিকেলে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বস্তি অঞ্চলগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কম, ফ্ল্যাটবাড়ির তুলনায়। তিনি দেখান, শেষ এক সপ্তাহে কলকাতার বস্তিগুলিতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭৪ জন। অন্য দিকে ছোট ফ্ল্যাটগুলিতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১২০০ জন। আবাসনগুলিতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৪০০ জন।