#কলকাতা: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে পৌঁছেছে জোড়া কেন্দ্রীয় দল৷ রাজ্যের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠমো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা৷ এরই মধ্যে কীভাবে রাজ্যে করোনা মোকাবিলা হবে, তার জন্য বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সুপার ও প্রিন্সিপালদের ১১ দফা নির্দেশিকা দিলেন মুখ্যসচিব। এই ১১দফা নির্দেশিকার মাধ্যমে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে দ্রুত মৃতদেহ সরানো, দ্রুত করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠানোর মতো বেশ কিছু পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
এই ১১ দফা নির্দেশিকার মধ্যে একদিকে যেমন এম আর বাঙুর হাসপাতালকে বিশেষভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে, অন্যদিকে প্রত্যেকদিন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ১১ দফা নির্দেশিকার মধ্যে কোন সরকারি হাসপাতালে কোনরকম গণ্ডগোল বা বিশৃঙ্খলা হলে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে বলেও মুখ্যসচিবের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ১১ দফা নির্দেশিকাতে কী কী বলা হয়েছে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:
১) কোনও মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতাল কোনও রোগীকে ফেরাতে পারবে না।
২) যদি কোনও রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হয়, তাহলে সেই রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার মাধ্যমে স্থানান্তরিত করতে হবে।
৩) সমস্ত প্রোটোকল মেনে মৃতদেহ ওয়ার্ডগুলি থেকে দ্রুত শিফট করতে হবে।
৪) আউটডোর এমার্জেন্সির সব চিকিৎসকদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রোটোকল মেনে প্রোটেক্টিভ গিয়ার পড়তে হবে।
৫) চিকিৎসকরা হাসপাতালের যে অংশগুলি ব্যবহার করছে, প্রত্যেকদিন সেগুলিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে স্যানিটাইজ করতে হবে।
৬) সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। তার সঙ্গে চিকিৎসকরা যে জায়গাগুলিতে বসছেন ও পোশাক বদল করছেন, সেই জায়গাগুলিও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে স্যানিটাইজ করতে হবে।
৭) নিশ্চিত করতে হবে যে নমুনা সংগ্রহের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই যাতে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়।
৮) মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে করোনা মোকাবিলা সংক্রান্তত কাজের জন্য এইচআর নিয়োগ করার।
৯) বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে এম আর বাঙুর হাসপাতালকে। যাতে সমস্ত পরিকাঠামো ও সহযোগিতা এই হাসপাতাল পায়।
১০) স্বাস্থ্য ভবন থেকে আধিকারিকদের প্রত্যেকদিন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে পরিদর্শন করতে হবে।
১১) সরকারি হাসপাতালগুলিতে কেউ বা কারা যদি কোনও অশান্তি বা অন্য কোনও কিছু করে, তার জন্য সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে।
ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের এই ১১ দফার নির্দেশিকা রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের সুপার ও প্রিন্সিপালদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সোমরাজ বন্দোপাধ্যায়।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus