#নয়াদিল্লি: নতুন ত্রাসের নাম ক্যাট কিউ ভাইরাস। করোনা মুক্তির নামগন্ধ নেই। পরিত্রাণ খুঁজছে ভারত-সহ গোটা বিশ্বই, তার মধ্যেই হুহু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। আর এবারেও ভাইরাস সংক্রমণের এপিসেন্টার এ সেই চিন। এবারেও একই ভাবে চিন থেকেই ভারতে আসতে পারে এই ভাইরাস, এমনই সতর্কবার্তা দিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের বিশেষজ্ঞরা।
ক্যাট কিউ ভাইরাসের উপসর্গ কী?
আইসিএমআর-এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন একটি নয়, একাধিক উপসর্গ রয়েছে ক্যাট কিউ ভাইরাসের। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ক্যাট কিউ ভাইরাসে আক্রান্তরা জ্বরজ্বারিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও ম্যানিনজাইটিস, পেড্রিয়াটিক এনকেফেলাইটিস দেখা দিতে পারে।
ক্যাট কিউ ভাইরাস কী?
বিজ্ঞানীরা বলছেন ক্যাট কিউ ভাইরাস এক ধরনের এয়ারবোন ভাইরাস যা অন্য প্রাণীর দেহ থেকে বাহিত হয়। এখনও পর্যন্ত চিন এবং ভিয়েতনামে এক অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। আইসিএমআর বলছে, ক্যাট কিউ ভাইরাসের প্রধান বাহক হল মশা। এজেপ্টি, কিউলেসক্স কুইনকিউফ্যাসিসিটা, কিউলেক্স ট্রাইচানিরাইনকাস জাতীয় মশা এই ভাইরাসের প্রধান বাহক। অন্য দিকে স্তন্যপ্রায়ী প্রাণীদের মধ্যে শুয়োরও এই ভাইরাস বহন করতে পারে।
ভারতে সংক্রমণের সম্ভাবনা কতটা ?
পুনের ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট ইফ ভাইরোলজি ৮৮৩ জন ভারতীয়ের সেরামের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। তার মধ্যে দু'জনের সেরামে ক্যাট কিউ ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে অতীতে। ২০১৪ সালে এবং ২০১৭ সালে এই দুই ব্যক্তি আক্রান্ত হন। তারপর আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
কী বলছে আইসিএমআর ?
আইসিএমআর এর দাবি, "যে ভাবে ক্যাটকিউ ভাইরাসের অ্যন্টিবডি তৈরি হয় এবং মশা যে ভাবে তা ছ়ড়িযে দেয় তা দেখে নিঃসন্দেহে বলা যায়, ক্যাট কিউ ভাইরাস এ দেশের মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। এই মুহূর্তে ভারতে এই ভাইরাসের উপস্থিতি কতটা তা বুঝতে আরও বেশি পরিমাণে নমুনা পরীক্ষা করা জরুরি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cat Que Virus