#কানপুরঃ সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল। একে একে টিকা দিচ্ছিলেন সকলে। এমন সময়ে টিকা দিতে ব্যস্ত এক নার্সের মোবাইলে ফোন আসে। টিকা দিতে দিতেই মোবাইলে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় এক মহিলাকে দু'ডোজ করোনার টিকা দিয়ে দেন তিনি। শনিবার সাংঘাতিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের দেহাত জেলায় আকবরপুরে।
অভিযোগকারী মহিলার দাবি, একটানা ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত ছিলেন সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স। সেই সময়ে ভুল করে পর পর দু'ডোজ টিকা তিনি দিয়ে ফেলেন এক মহিলাকে। সেই সময় তিনি কর্তব্যরত নার্সকে জিজ্ঞাসা করেন, একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার বদলে কেন তাঁকে দুটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হল পর পর। তখন নার্স যে ভুল করে পর পর দু'ডোজ ইঞ্জেকশন দিয়ে ফেলেছেন তা স্বীকার করে নেন। ক্ষমাও চেয়ে নেন নিজের ভুলের জন্য।
ঠিক কী ঘটেছিল? শনিবার কমলেশ কুমারী (৫০) নামে ওই মহিলা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টিকা নিতে গিয়েছিলেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, এ দিন তাঁর প্রথম ডোজ করোনা টিকা নেওয়ার কথা ছিল। ছয় থেকে আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা। কিন্তু এ দিন নার্সের গাফিলতিতে একইসঙ্গে পর পর দু'বার টিকা দিয়ে দেওয়া হয়। কমলেশ কুমারী জানিয়েছেন, এ দিন পর পর দু'ডোজ টিকা নেওয়ার পরে হাতের সেই অংশ ফুলে উঠেছিল।
এ দিকে, এ দিনের ঘটনার পরে মহিলার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। পরবর্তীতে জেলা শাসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দ্বারস্থ হন গাফিলতির অভিযোগ তুলে। PTI-র রিপোর্ট অনুজায়ী, পর পর দু'ডোজ ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরে মহিলার জ্বর এসেছিল সামান্য। তবে তেমন কোনও গুরুতর সমস্যা হয়নি। এ দিনের ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক জিতেন্দ্র প্রতাপ।