#বর্ধমান: আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেসব পরিসংখ্যান সামনে আসতেই মঙ্গলবার বর্ধমান শহরে লকডাউন আরও কড়াকড়ি করল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় কড়াকড়ি লকডাউনের কথা মাইকে ঘোষণা করে জানিয়েও দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বুধবার থেকে শুরু হওয়া একটানা লকডাউন মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। বুধবার রাজ্যজুড়ে লকডাউন পালন করা হবে।
লকডাউন কড়াকড়ি হওয়ায় সবজি বাজার না বসায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। এদিকে বুধবারের পর লকডাউন অব্যহত থাকবে কিনা তা নিয়ে বাসিন্দাদের কৌতূহল বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার নতুন করে লকডাউনে কড়াকড়ি হওয়ায় তার মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাসিন্দাদের একটা বড় অংশই। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারের পর লকডাউন দু'একদিন শিথিল করা হতে পারে। তবে পরিসংখ্যান, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাসিন্দাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন গোটা রাজ্যে মোট ৯ দিন লকডাউন থাকবে অগাস্ট মাসে।অগাস্ট মাসের ২, ৫, ৮, ৯, ১৬, ১৭, ২৩, ২৪, ৩১ তারিখ রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে।
বুধবার থেকে শহর জুড়ে শুরু হওয়া লকডাউনে সবজি বাজার ও মুদিখানা দোকান খোলা রাখার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। যদিও এর মাঝে দু'দিন রাজ্য সরকারের নির্দেশে হওয়া লকডাউনে চিকিৎসা ও জরুরি পরিষেবায় ছাড়া বাকি সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের ডাকা লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকছে। কিছু সবজি বাজার বসছিল। পাড়ায় পাড়ায় খোলা থাকছিল মুদিখানা দোকান।সে ক্ষেত্রে সকাল থেকে বেলা একটা পর্যন্ত একবেলা সবজি বাজার, মুদিখানাদোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন।
কিন্তু প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ও সেই সঙ্গে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খবর বেলায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন মঙ্গলবার লকডাউন আরও কড়াকড়ি করার নির্দেশ জারি করে। জেলা শাসকের নির্দেশে বর্ধমান শহর এলাকায় মঙ্গলবার সব সবজি বাজার, মাছ বাজার, মুদিখানা দোকান বন্ধ থাকবে বলে মাইকে প্রচার করা হয়। সেই অনুযায়ী এদিন সকাল থেকেই স্টেশন বাজার, রানিগঞ্জ বাজার, তেঁতুলতলা বাজার সহ অনেক বাজারি বসতে দেওয়া হয়নি। বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই এসেও ফিরে যান।
বুধবার ফের রাজ্যজুড়ে লকডাউন।সেদিন সবজি মাছ বা মুদিখানা দোকান খোলা থাকবে না ধরে নিয়ে আজ অনেকেই সেসব কেনাকাটা সেড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। বাজার না বাসায় সমস্যায় পড়েন তাঁরা।অনেকে আবার এই কড়াকড়িকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার ইঙ্গিত বলেই মনে করছিলেন, যা ফললও মুখ্যমন্ত্রীর সাংবদিক বৈঠক হতেইষ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID19