#বর্ধমান: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে গৃহবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সকলের বাড়িতে থাকা নিশ্চিত করতে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে টানা একুশ দিনের লকডাউন। এই পরিস্থিতির কারণে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রক্ত সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। চরম রক্ত সংকটে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকও। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। প্রতিদিন দশ ইউনিট করে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করছে তারা।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে বেশ কিছুদিন ধরে অনেকেই গৃহবন্দি। জমায়েত না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। এর জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই রক্ত দান শিবির বন্ধ রয়েছে। তার ওপর শুরু হয়েছে টানা একুশ দিনের লকডাউন। এর ফলে আর রক্ত দান শিবির হওয়ার কোনও উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতে রক্ত সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করবে বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর উদ্বেগের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসনকেও। কিভাবে রক্তের এই সংকট মেটানো যায় তা খতিয়ে দেখছে জেলা প্রশাসন। এভাবে সংকট চললে রক্তের অভাবে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন রোগীর আত্মীয়রা।
পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ মহকুমা হাসপাতালগুলি, বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে অনেক রোগী রয়েছেন। অনেকের জরুরি অপারেশনও প্রয়োজন। সেসব রোগীদের অনেকের জন্যই রক্তের প্রয়োজন পড়ছে। রক্তের নমুনা নিয়ে এসেও অনেকে ব্লাড ব্যাংক থেকে শূন্য হাতে ফিরছেন। এই সংকটের কথা জানতে পেরেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রক্ত সংকটের কথা জানিয়েছেন। সেজন্য জেলা পুলিশ আগামী কুড়ি দিন লক ডাউন চলাকালীন প্রতি দিন দশ ইউনিট করে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
SARADINDU GHOSH