#কলকাতা: পায়ে হেঁটে ব্রিগেড ভরানোর দিন কি ফুরিয়ে এলো! কিংবা শহিদ মিনার বা ধর্মতলা ভরানোর দিনও কি শেষ! রাজ্যে প্রথম ভার্চুয়াল জনসভা করে সেই বিতর্ক উস্কে দিল অমিত শাহের দল।
করোনা, লকডাউন, আনলক পরপর পর্ব জুড়ে একাধিক নতুন নতুন ঘটনার সাক্ষী দেশ। সাক্ষী আমাদের রাজ্যও। এমন একটা মুহূর্তে দিল্লির ভার্চুয়াল মঞ্চে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ প্রবেশ করছেন ঠিক সেই সময় ভার্চুয়াল অভ্যর্থনায় তাঁকে স্বাগত জানানো হচ্ছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বেলঘড়িয়া থেকে কিংবা কাকদ্বীপ থেকে। ভার্চুয়াল জনসভা, সঙ্গে মানানসই ভার্চুয়াল অভ্যর্থনা।
নিউজ চ্যানেল, সোশ্যাল সাইটর পর্দায় যখন ভেসে উঠছে অমিত শাহের মঞ্চ প্রবেশের ছবি, ঠিক সেই সময় শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, করতালি দিয়ে রাজ্য থেকে সর্বভারতীয় নেতা কে স্বাগত জানাচ্ছেন বিজেপি সমর্থক রা টিভির পর্দা কিংবা সোশ্যাল সাইটের পর্দার সামনে। কেউ টানা এক মিনিট শঙ্খধ্বনি দিলেন, কেউবা টানা এক মিনিট উলুধ্বনি দিয়ে চললেন।
বেলঘরিয়ার রিনি ভদ্র। সকল সদস্যদের নিয়ে টিভির সামনে সকাল ১১ টার আগেই এদিন উপস্থিত হয়ে যান। পেশায় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। আদ্যন্ত বিজেপি সমর্থক। টিভির স্ক্রিনে যেই না ফুটে ওঠা অমিত শাহ-এর আগমন বার্তা, মুহূর্তে শঙ্খধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো শুরু রিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
সমস্ত জেলাজুড়ে ১২০০ মন্ডল অফিসে বিজেপি কর্মকর্তারা অমিত শাহের ভার্চুয়াল জনসভায় সামিল হয়েছিলেন। সেখানে একইভাবে ভার্চুয়াল অভ্যর্থনায় স্বাগত জানানো হয় অমিত শাহকে। পায়ে পায়ে মিছিলে হেঁটে ব্রিগেড ভরানো, কিলোমিটারের পর কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মাইক লাগিয়ে জনসভা।
মাসভর রাজনৈতিক প্রচার শেষে সভা। এইসব ট্রাডিশনাল রাজনৈতিক কর্মকান্ড কি তবে শেষের পথে। বিজেপির ভার্চুয়াল জনসভার ধারণায় কি ভবিষ্যতে ছেদ ঘটবে আসল জনসভার? কোভিড মুক্ত পৃথিবীতে জানা যাবে উত্তর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।