#নয়াদিল্লি: ২৪ ঘণ্টা আগেই করোনার দুই টিকা- কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে সরকারি ভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভিজি সোমানি৷ তিনি জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকা ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ডের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ-এর(আইসিএমআর) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ব্যবহার করাও একশ শতাংশ নিরাপদ৷ এইএমসের ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া বলছেন যে, আপাতত কোভ্যাকসিনকে ব্যাক-আপ হিসেবেই থাকছে৷ শুরুতে ব্যবহার হবে কোভিশিল্ড৷
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এখনও ক্লিনিকাল ট্রায়াল মোডে রয়েছে। এই সংস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এই খবর জানার পরেই বিরোধী পক্ষের হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশীয় সংস্থা ভারত বায়োটেক৷ কেউ প্রশ্ন তুলেছে কী করে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায় শেষ হওয়ার আগেই কোভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়ে গেল! কারোর প্রশ্ন, এই টিকার কার্যক্ষমতা সেভাবে পরীক্ষিত নয়, তাহলে কত'টা নিরাপদ! এমনকী সংস্থার অভিজ্ঞতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন৷
Covaxin has shown less than 10 % adverse reactions, while others have 60-70% adverse reactions.AstraZeneca was giving 4g paracetamol to volunteers to suppress such reactions. We haven’t given paracetamol to any volunteer. I can assure our vaccine is a 200 % safe:Bharat Biotech MD pic.twitter.com/PikeDn0v3D
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কোভ্যাকসিন নিয়ে যাবতীয় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও সমালোচনার উত্তর দিলেন ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ডাক্তার কৃষ্ণা এল্লা৷ তিনি বলছেন, "আমাদের টিকার ব্যাপারে ভীষণ অভিজ্ঞ একটা সংস্থা৷ আমাদের সংস্থা ১২৩টি দেশে আছে৷ এরকম অভিজ্ঞতা আর কারোর নেই৷ পাশাপাশি মেডিক্যাল জার্নালগুলোয় আমাদের নিয়ে এত লেখালেখি কাউকে নিয়ে হয়নি৷ সম্ভবত ভারতীয় সংস্থা বলেই এত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি৷ আর ট্রায়ালের ব্যাপারে বলতে পারি, শুধু ভারতে নয় বিশ্বের ১২টি দেশে ট্রায়াল হয়েছে৷ এর মধ্যে ব্রিটেন-সহ পাকিস্তান, নেপাল ও বাংলাদেশ রয়েছে৷ আমরা সেঅর্থে ভারতীয় সংস্থা নয়, দেখতে গেলে বিশ্বব্যপী একটা সংস্থা৷ ২০০ শতাংশ সততার সঙ্গে ট্রায়াল হয়েছে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে অনান্য সংস্থার টিকার থেকে আমাদের টিকার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ১০ শতাংশ কম৷ করোনা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনকা ৪ গ্রামের প্যারাসিটামল দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের৷ আমাদের তার প্রয়োজন পড়েনি৷ আমাদের টিকা ২০০ শতাংশ নিরাপদ৷"