#বার্লিন: করোনা আবহে বন্ধ তামাম বিশ্বের যৌনপল্লি। পৃথিবীর প্রথম যৌনপল্লি হিসেবেই নতুন যুগের পথচলা শুরু করল বার্লিনের ব্রথেল। যদিও অবাধ যৌনতায় নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে জার্মান সরকার।
করোনার প্রাদুর্ভাব ঠিক কত কোটি মানুষের পেটের ভাত কেড়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। তবে বিশ্বজুড়েই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অসংগঠিত শ্রমিকদের, যৌনকর্মীদের। শেষ কবে এতদিন ধরে যৌনপল্লীগুলি আটকানো ছিল তা মনে করতে পারছেন না ঐতিহাসিকরাও। এই অবস্থাতেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় নতুন করে বাঁচতে মরিয়া জার্মানির যৌনকর্মীরা। জার্মান সরকারের নিদান, আপাতত মাসাজ বা অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন যৌনকর্মীরা। কিন্তু তার বেশি নয়। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পরিসরে কোনও রকম যৌনসংসর্গ চলবে না।
যদিও এই ঘোষণা নিয়েও দুরাশায় ভুগছেন বার্লিনের যৌনকর্মীরা। তাঁদের দাবি, খদ্দেররা বেশির ভাগ সময়েই সংসর্গই চায়। সে ক্ষেত্রে আদৌ এভাবে রোজগার শুরু হবে কিনা, তাঁরা জানেন না।
Berlin's brothels were allowed to reopen last week after months of closure due to coronavirus restrictions -- but full-on sex is still off-limitshttps://t.co/GHac664oHr
— AFP news agency (@AFP) August 15, 2020
জার্মানিতে ব্রথেলগুলিতে যৌন সংসর্গ বন্ধ রয়েছে মার্চ মাস থেকে। জুলাইয়ের শুরুতে যৌনকর্মীরা পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন। মিছিল যায় পার্লামেন্ট পর্যন্ত। তাঁদের দাবি ছিল, এই নিষেধাজ্ঞা তাঁদের খাওয়াপরা বন্ধ করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জার্মানিতে যৌনকর্ম এইটি আইনি পেশা। চল্লিশ হাজারেও বেশি যৌনকর্মী লিগ্যাল ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ঘোরেন। এঁদের পথে বসিয়েছে করোনা। এক ব্রথেল মালিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে এই পরিষেবার। শুধু তাই নয়, এখন নতুন করে করোনা বিধি মেনে ব্যবসা চালু করার জন্যেও বিনিয়োগ লাগবে। এখন কেউ ব্রথেলে এলেই তাঁকে করোনা সুরক্ষা বিধি মানার চুক্তিপত্রে সই করতে হচ্ছে।
জানা মার্কস নামের এক যৌনকর্মী বলছেন, ২০ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছি, কখনও এই পরিস্থিতি আসেনি। আমি করোনাকে আর ভয় পাই না, ভয় খিদেকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।