হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
আক্রান্ত দুই ! করোনা ঠেকাতে এলাকা ঘিরছেন বর্ধমানের বাসিন্দারা

আক্রান্ত দুই ! করোনা ঠেকাতে এলাকা ঘিরছেন বর্ধমানের বাসিন্দারা

বাসিন্দারা বলছেন, কার শরীরে করোনার সংক্রমণ রয়েছে তা বোঝা মুশকিল। তাই সাবধানতার জন্যই এই ব্যবস্থা।

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: আবারও করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল বর্ধমানের খন্ডঘোষে। এবার আক্রান্ত ৯ বছরের বালিকা। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে গ্রামে তৈরি হচ্ছে ব্যারিকেড। উদ্বিগ্ন সকলেই। বর্ধমান শহরেও পাড়ায় পাড়ায় ব্যারিকেড তৈরির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বহিরাগত কাউকেই আর এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রাতারাতি ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন দরজায় দরজায় আসা মাছ বা সবজি বিক্রেতারাও। তাদের জন্যও এখন প্রবেশ নিষেধ বোর্ড ঝুলছে গলিতে ঢোকার মুখে। বাসিন্দারা বলছেন, কার শরীরে করোনার সংক্রমণ রয়েছে তা বোঝা মুশকিল। তাই সাবধানতার জন্যই এই ব্যবস্থা।

বর্ধমানের খন্ডঘোষের বাদুলিয়ায় এক ব্যক্তির দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তিনি এখন দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সংস্পর্শে আসায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাঁর ৯ বছরের ভাইঝিও। দু’জনেরই সংস্পর্শে এসেছিলেন যাঁরা তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে উদ্বেগে খন্ডঘোষ, রায়না, মাধবডিহির বাসিন্দারা। বর্ধমান মেডিকেলের বেশ কয়েকজন ডাক্তার সহ ৩৯ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের সালারের এক করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

খন্ডঘোষের ঘটনার জেরে করোনার উদ্বেগ এখন পাড়ায় পাড়ায়। সব এলাকা কার্যত সিল করে দিয়েছেন বাসিন্দারাই। পালা করে সেখানে পাহারা দিচ্ছেন এলাকার যুবকরা। কেউ বাইরে যেতে চাইলে কেন যাচ্ছেন জানতে চাইছেন বাসিন্দারাই। এসবের জেরে লক ডাউনে রাস্তায় বেরনোর হিড়িকও কমেছে অনেকটাই। বর্ধমানের তেলমারুই পাড়া, বুড়ির বাগান, আলমগঞ্জ, জেলখানা মোড় সহ অনেক এলাকাতেই রাতারাতি ব্যারিকেড বসে গিয়েছে।

অন্যদিকে, খন্ডঘোষের বাদুলিয়ায় দুই করোনা আক্রান্তের গ্রাম সিল করে রেখেছে পুলিশ। কাউকেই গ্রামের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামে ঢুকতেও পাচ্ছেন না কেউই। বাসিন্দারা গ্রামেও ঘোরাফেরা করতে পারছেন না। তাঁদের বাড়ির মধ্যে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। এদিন রায়না খন্ডঘোষের বেশিরভাগ বাজার ফাঁকা ছিল। রাস্তায় লোক চলাচলও তুলনামূলক কম ছিল। জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, ওই গ্রামে এখন রেশন দোকান ও মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী বিলি বন্ধ থাকবে। বাসিন্দাদের বিকল্প উপায়ে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।

Saradindu Ghosh

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Coronavirus, Coronavirus in India