#শিলিগুড়ি: শহরে একের পর এক এটিএম লুঠের ঘটনায় জড়িত চক্রের হদিস পেল এনজেপি থানার পুলিশ। লাগাতার নৈশ পেট্রোলিং টিমের অভিযানে অবশেষে এল সাফল্য। এনজেপি থানা এবং মিলনপল্লি পুলিশ ফাঁড়ির সাদা পোশাকের পুলিশের যৌথ হানায় গ্রেপ্তার সশস্ত্র ৫ দুষ্কৃতি। উদ্ধার একটি বোলেরো গাড়িও।
গজলডোবার কাছে তিস্তা ক্যানেলের ধার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাইট পেট্রোলিংয়ের সময়ে তিস্তা ক্যানেলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল গাড়িটি। সন্দেহ হওয়ায় সাদা পোশাকের পুলিশ ফিল্মি কায়দায় ঘিরে ফেলে গাড়িটিকে। এরপর এক এক করে গাড়িতে থাকা দুষ্কৃতিদের জেরা করতেই অসংলগ্ন কথা বেরিয়ে আসে। থানায় এনে ফের জেরা চালানো হয়। আর তাতেই রহস্য ভেদ হয়ে যায়। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৫৩ কেজি গাঁজা। যা পাচারের ছক কষেছিল দুস্কৃতিরা। উদ্ধার বেশকিছু ধারালো অস্ত্র এবং যন্ত্রাংশ। অপারেশনে ব্যবহৃত হত।
পুলিশি জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করে নেয় এটিএম লুঠের সঙ্গে তাদের যোগ থাকার কথা বলে দাবী শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসিপি হেড কোয়ার্টার নিমা নরবু ভুটিয়ার। ধৃতদের নাম গৌতম মালি, রাজেন সরকার, খোকন অধিকারী, সুব্রত দেব এবং ভজন দাস। তাদের বাড়ি ফাঁসিদেওয়া, ফকদইবাড়ি, শিলিগুড়ি, ভক্তিনগর এবং ইসলামপুরে। এদের মধ্যে কেউ মাছ বিক্রেতা, কেউ মাস্ক বিক্রি করতো, কেউ প্লেসমেন্টের কাজে জড়িত। দিনের বেলায় নিজেদের পেশায় যুক্ত থাকতো। আর রাত হলেই অপরাধ জগতে ঢুকে যেত।
মাস দেড়েকের মধ্যে শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকায় ১০টি এটিএম লুঠের চেষ্টা চালায় তারা। বিকল করে দেয় সিসিটিভি ক্যামেরা। যদিও টাকা লুঠ করতে সফল হয়নি তারা। একাধিক চুরির ঘটনাতেও জড়িত ধৃতেরা বলে পুলিশের দাবী। এদের মধ্যে রাজেন সরকার পুরনো অপরাধী। এর আগেও একাধীক মামলায় পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল সে। ধৃতদের ফের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা চালাবেন তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান, এই চক্রে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। সেই নামগুলো বের করতে চায় পুলিশ। ডিসিপি জানান, এটিএম গুলোয় নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতদের। কীভাবে লুঠের চেষ্টা চালায় তা পুলিশকে দেখায় তারা।
Partha Pratim Sarkar