#নয়াদিল্লি: কোভিড-ত্রস্ত দেশ। তবে যুদ্ধের দিনে হাতগুটিয়ে বসে নেই ভ্যাকসিন নির্মাতারা। আপাতত তাদের তৎপরতাই একমাত্র আশার আলো। নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক ভিকে পাল জানাচ্ছেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি ভ্যাকসিন থাকবে ভারতের হাতে। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলাই নয়, এই ভ্যাকসিনই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য লড়াইয়ের অস্ত্র হয়ে উঠতে চলেছে আগামী দিনে। আপাতত হাতে রয়েছে ভারতে তৈরি দুটি ভ্যাকসিন-কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে আসছে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক। এরই পাশে আরও পাঁচটি ভ্যাকসিন সরকারের জরুরিকালীন ছাড়পত্র পেয়ে উৎপাদন শুরু করছে জোরকদমে।
কোন ভ্যাকসিনটি নেবেন,কোনটির কী বৈশিষ্ট্য, বিশদে জানুন-
কোভ্যাকসিন
কোভ্যাকসিন-ভারত বায়োটেক, ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর উদ্যোগে তৈরি কোভ্যকসিন দেশে ইতিমধ্যেই দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্রায়াল রিপোর্ট বলছে, এই কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭৮ শতাংশ। ফরমালিন-এর মতো রাসায়নিকে তৈরি হয় এই ভ্যাকসিনটি। প্যাথোজেন (ভাইরাস বা ব্যকটেরিয়া) শরীরে প্রবিষ্ট করা হয় শরীরে নিজেকে প্রতিস্থাপিত করে না বরং করোনার ভাইরাসের প্রতিস্থাপনকে রুখে দেয়। ডিসেম্বরের মধ্যে ৫৫ কোটি এই ভ্যাকসিন সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
বায়োলজিক্যাল ই
হায়দরাবাদের ফার্মা সংস্থা বায়োলজিকাল-ই তাদের ভ্যাকসিন BECOV2A এর জন্য জরুরিকালীন ছাড়পত্র পেয়েছে। কোভ্যাকসিনের থেকে এই ভ্যাকসিনটি চরিত্রগত ভাবে অনেকটাই আলাদা। দামেও সস্তা হয়। অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ কোটি বায়োলজিক্যাল ই- উৎপাদন করার কথা। ভাইরাস/ব্যাক্টেরিয়া-জাত ভ্যাকসিনের তুলনায় এই ভ্যাকসিনকে স্বাস্থ্যবিদরা অনেকই এগিয়ে রাখেন। অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে সংস্থাটি।
কোভিশিল্ড
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রজেনেকা ও অক্সফোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট। শিম্পাঞ্জির অ্যাডেনোভাইরাস থেকে তৈরি এই ভ্যাকসিন। সংস্থার পরিকল্পনা অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৫ কোটির বেশি় ডোজ তৈরির করার।
স্পুটনিক ভি
রাশিয়ান সরকারের তৈরিএই ভ্যাকসিনটির দুটি ডোজ ৯১.৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে রোগীর দেহে। AD5 ও AD6 এই দুই মানবদেহের অ্যাডিনোভাইরাসে তৈরি করা হয়েছে স্পুটনিক ভি। ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে ১৫.৬ কোটি স্পুটনিক ভি তৈরি হবে।
জাইডাস ক্ল্যাডিলা
আমেদাবাদের এই সংস্থাটি একটি ডিএনএ-ভ্যাকসিন তৈরি করছে। নিউক্লিক অ্যাসিডে তৈরি এই ভ্যাকসিনে জিনগত উপাদান ব্যবহৃত হয় যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা যায়। ডিসেম্বরের মধ্যে এই ভ্যাকসিনের ৫ কোটি ডোজ তৈরি করা যাবে।
নোভোভ্যাক্স
মার্কিন এই ভ্যাকসিনটির উৎপাদক সিরাম ইন্সটিটিউট। NVX-CoV2373 বা কোভোভ্যাক্স প্রোটিন সাবইউনিট থেকে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়। ডিসেম্বরের মধ্যেকোটি এই ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাদ্বয়ের।
জেনোভা
পুনের জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যল, এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে। এটি mRNA ভ্যাকসিন। অর্থাৎ ভ্যাকসিনটির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কিছু RNA যার জিনগত গুণ স্পাইক প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করবে।
ইন্ট্রানাসাল
ভারত বায়োটেকের প্রস্তাব একটি এমন ভ্যাকসিন তৈরি করার যা নাসারন্ধ্র দিয়ে প্রবেশ করানো যাবে। এটিও মানবদেহের অ্যাডিনোভাইরাস দিয়েই তৈরি। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি এই ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Covid vaccine, COVID19