হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
লকডাউন উঠতেই থিকথিকে ভিড় বর্ধমানের বাজারে, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা

লকডাউন উঠতেই থিকথিকে ভিড় বর্ধমানের বাজারে, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা

এদিন সকালে বর্ধমান স্টেশন বাজার,পুলিশ লাইন বাজার, নীলপুর বাজার সহ বিভিন্ন সবজি বাজারে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।

  • Share this:

#‌বর্ধমান:‌ লকডাউন উঠে যেতেই বর্ধমানের বাজারে থিকথিকে ভিড় লক্ষ্য করা গেল। প্রয়োজনের কাজ নিয়ে এদিন একসঙ্গে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। যার ফলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই ভিড় দেখে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। বর্ধমান শহরে করোনার সংক্রমণ কমেনি, বরং তা বেড়েই চলেছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় এই শহরেই ১৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আরও বহু মানুষের শরীরে করোনার উপসর্গ রয়েছে। অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে হাসপাতালে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা জমা দিচ্ছেন। সেই সময়ে একসঙ্গে এত মানুষ বাইরে আসায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে বুধবার থেকে টানা আট দিন সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল বর্ধমান শহরে। এবারের এই লকডাউনে বেশিরভাগ বাসিন্দাকেই গৃহবন্দি থাকতে দেখা গিয়েছে। লকডাউন নিশ্চিত করতে এলাকায় এলাকায় টহল দিয়েছে পুলিশ। ফলে শহরের মূল এলাকাগুলি তো বটেই, পাড়া বা অলিতে-গলিতে থাকা বিভিন্ন দোকানও বন্ধ ছিল। কিন্তু তাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। টানা আটদিন লকডাউন থাকায় বাসিন্দাদের অনেক কাজই থমকে গিয়েছিল। অনেকের বাড়িতেই খাদ্য সামগ্রীও ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই লকডাউন উঠতেই বিভিন্ন কেনাকাটার প্রয়োজনে বাজারে বেরিয়েছিলেন বাসিন্দারা।

এদিন সকালে বর্ধমান স্টেশন বাজার,পুলিশ লাইন বাজার, নীলপুর বাজার সহ বিভিন্ন সবজি বাজারে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন উঠে গিয়েছে মানেই যে ঘরের বাইরে স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়ানো যাবে এমনটি নয়। বরং এই পরিবেশে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই সব কিছু খোলা থাকলেও বাসিন্দাদের সচেতন থাকতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে এখন না বেরোনোই ভালো। জরুরি প্রয়োজনে বেরোতে হলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা অবশ্যই জরুরি। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা সেরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে যাওয়াই শ্রেয়। নচেৎ সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

Saradindu Ghosh

Published by:Uddalak Bhattacharya
First published:

Tags: Coronavirus