#কলকাতা: রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় শুরু অ্যান্টিবডি টেস্ট। সোমবার থেকে রাজ্যে শুরু হল র্যাপিড টেস্ট। কলকাতার বেলগাছিয়া অঞ্চলে প্রথম র্যাপিড টেস্ট করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের ৭ সদস্যের বিশেষ দল বেলগাছিয়া থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। পিপিই পড়ে বিশেষজ্ঞরা বিশেষ সুরক্ষার মধ্যে দিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বেলগাছিয়ার একাধিক আবাসিকের থেকে। মূলত করোনার উপসর্গ যাঁদের মধ্যে কিছুটা হলেও দেখা যাচ্ছে, সেই সমস্ত মানুষদের এই টেস্টের আওতায় আনা হয়।
বেলগাছিয়া উর্দু হাই স্কুলে দুপুরেই পৌঁছয় এসএসকেএমের দলটি। রাপিড টেস্ট অন্য অর্থে অ্যান্টিবডি টেস্ট। করোনা সন্দেহভাজনদের রক্তের নমুনা নেওয়ার পর বিশেষ কিটে দিয়ে স্ক্রিনিং পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষাটি করা হচ্ছে। অ্যান্টিবডি টেস্ট করা দলের অন্যতম চিকিৎসক মৈত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় করোনা সুনিশ্চিতকরণ করা যায় না। আমরা নমুনা সংগ্রহ করে এসএসকেএম এবং তারপর রিপোর্ট সরাসরি আইসিএমআর অনলাইন পোর্টালে আপলোড করে দেব।' মঙ্গলবার থেকে শহরের ১০ জায়গায় ১০টি দল একযোগে র্যাপিড টেস্ট করবে বলেও জানান মৈত্রী দেবী। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় কলকাতা এবং হাওড়া অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কলকাতার আবার অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা বেলগাছিয়া অঞ্চল। বেলগাছিয়া অঞ্চল থেকেই র্যাপিড টেস্ট শুরু করল রাজ্যের এসএসকেএমের এই বিশেষ দলটি।
অ্যান্টিবডি টেস্ট করে কি করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করা যায় ? শহরের বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অমিতাভ নন্দীর কথায়, 'অ্যান্টিবডি টেস্টে নভেল করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করা যায়। ইমিউনোগ্লোবিন জি এবং এম এই দুটি ক্যাটাগরি সুনিশ্চিত করা যায় অ্যান্টিবডি টেস্টে । রাপিড টেস্টের ফল আইজিজি পজিটিভ হলে বলা হবে করোনা সংক্রমণ রয়েছে এবং তা বেশ পুরনো। আর আইজি-এম পজিটিভ হলে বলা হবে সদ্য করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ব্যক্তি।' করোনায় সবথেকে ভয় গোষ্ঠী সংক্রমণ। স্পর্শকাতর এলাকায় করোনা কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, তার একটা আন্দাজ পাওয়া যাবে এই র্যাপিড টেস্ট। যে অংশের মানুষ অ্যান্টিবডি টেস্টে পজিটিভ হয়ে ধরা দেবেন তাঁদের গৃহ পর্যবেক্ষণে রেখে করনার মোকাবিলা করা সুবিধার হবে এই টেস্টের মাধ্যমে বলছেন চিকিৎসকরা।
ARNAB HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Rapid antibody test