#কলকাতা: প্রথম ধাপে রাজ্যে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের করোনা টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাস থেকেই, এবার দ্বিতীয় ধাপের দিকে নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে রাজ্যের সব সরকারি কর্মীকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সরকারি স্কুলের শিক্ষক সহ অশিক্ষক কর্মীদেরও টিকা প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷
মুখ্যসচিব বলেন রাজ্যে পরিবহণ দফতর সহ যত সরকারি কর্মচারী আছেন, তাঁদের নাম টিকাকরণের জন্য নথিভুক্ত করা হবে। সূত্র জানাচ্ছে, এই ধাপে টিকা মিলতে পারে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক সহ অশিক্ষক কর্মীদেরও। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরাও এই ধাপে টিকা পেতে পারেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, যে সব সরকারি ভোটকর্মীদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হবে তাঁদের জন্য প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে আগে করোনা টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। সে কারণে ইতিমধ্যে তোড়জোড় চলছে। সকলকে টিকা দেওয়া যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
যেহেতু রাজ্যে সমস্ত সরকারি অফিসগুলি খুলে গিয়েছে ও কর্মীদের রোজই অফিস যেতে হচ্ছে, তাই তাঁদের কথা বিবেচনা করে রাজ্যের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভ্যাক্সিন দেওয়ার। কিন্তু এ এক বিরাট কর্মযজ্ঞ। জানা গিয়েছে, রাজ্যে জেলাভিত্তিক সরকারি কর্মচারীদের নাম সংগ্রহ করা হবে। জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি আসবে তাতে উল্লিখিত থাকবে সমস্ত সরকারি অফিসের কর্মচারীদের নাম নথিভুক্ত করার কথা। সকলের নাম নথিভুক্ত হলে শুরু হবে টিকাকরণ। রাজ্যে সরকারি কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ। তাঁদের সকলকে টিকা দেওয়া যে, এক বিরাট কর্মজজ্ঞ তা বেশ আঁচ করতে পারছে সরকারও।
এ বিষয়ে এখনও কোনও দিনক্ষণ জানানো হয়নি। এখন রাজ্যের হাতে যে দুটো কাজ রয়েছে তার একটি হল ভোটকর্মীদের টিকা প্রদান ও সরকারি কর্মীদের টিকা প্রদান। এদুটো কাজ একই সঙ্গে পাশাপাশি চলবে , নাকি আগে ভোটকর্মীদের টিকাকরণের পর রাজ্যের সরকারি কর্মীদের টিকা প্রদান শুরু হবে তা এখনও জানা যায়নি।
(আবীর ঘোষাল)