#নয়াদিল্লি: ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI) সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড (Covishield) এবং ভারতে বায়োটেকের ভ্যাকসিন কোভাক্সিনের (Covaxin) জরুরী ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে৷ তবে এই বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে যা নিয়ে AIIMS-র ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া (AIIMS Director Randeep Guleria) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, যে ব্যক্তিকে কোভ্যাক্সিনের টিকা দেওয়া হবে তার যে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। এটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময়ও করা হয়েছিল। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ভারতের ভ্যাকসিনের জরুরী অনুমোদনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন যে "ইন্ডিয়া বায়োটেকের তৃতীয় পর্যায়ের কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষা এখনও করা হয়নি।" তাঁর মতে, কোভাক্সিনের অনুমোদন বিপজ্জনক হতে পারে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধনের বয়ান চান তিনি। "ট্রায়াল সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিনের ব্যবহার এড়ানো উচিত। ভারতের অস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার করা উচিত," বলছেন শশী।
এআইএমএস ডিরেক্টর বলেছেন যে, ব্রিটেনে নতুন স্ট্রেনের প্রভাব পড়লে কোভ্যাক্সিন শুধুমাত্র ব্যাকআপ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এইমস ডিরেক্টর বলেছেন যে, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যখন কোনও ভ্যাকসিন বিবেচনা করি তখন সুরক্ষার বিষয়ে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হয়৷ হয় এবং তাই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করা হয়৷ তবেই তার অনুমোদন মেলে। গুলেরিয়া বলেছেন যে, এটি আমাদের দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং নতুন বছর শুরু সঙ্গে খুবই সুখবর। দুটি ভ্যাকসিনই ভারতের তৈরি। এগুলির খরচও নাগালের মধ্যে থাকা উচিৎ৷ ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টিকা দেওয়া শুরু করা উচিত বলে তাঁর মত।
কোভ্যাক্সিন নিয়ে ওঠা নানা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে গুলেরিয়া জানান যে, দেশে করোনার সংক্রমণ যদি হঠাৎ করে বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পায়, তাহলে কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হবে৷ সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা বুঝে নিয়ে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন ব্যাকআপ হিসেবেও ব্যবহার করা হতে পারে৷
এইমসের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তাদের ইতিমধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডোজ উপলব্ধ রয়েছে এবং তারা প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সরবরাহ করতে সক্ষম হবে যেখানে আমরা প্রায় ৩কোটি লোককে টিকা দেওয়া হবে।