#কলকাতা: দমকলের কর্মী ক্ষোভ ছিল অনেকদিন ধরেই, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হল শনিবার। দমকলের কর্মী দেব নারায়ণ পালের মৃত্যুর পরই উঠেছে নানান প্রশ্ন। শুক্রবার টালিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর অন্য কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ওঠে চরমে। দমকল কেন্দ্রের মধ্যেই মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হন কৃষ্ণেন্দু কুন্দন। শনিবার পর্যন্ত সেই মৃত্যুর ঘটনায় রেশ থাকল ।
মৃত দমকল কর্মীর মৃত্যুর পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ যায় মর্গে। ময়নাতদন্তের পরে দেহ সরাসরি চলে আসে টালিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে। সেখানে দমকলের উর্ধ্বতন কর্তারা শেষ শ্রদ্ধা জানান। মৃত দমকল কর্মীর সঙ্গে ছিলেন তার দিদি দেবীকা পাল ও জামাইবাবু। মৃত বন্ধুর দেহ টালিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনরর মাটি ছুঁতেই কিছু সময়ের মধ্যেই শুরু হয় অন্য কর্মীদের মধ্যে অশান্তি। তাদের বিভিন্ন দাবীদাওয়ার মধ্যে মুখ্য দাবি হিসাবে রাখা হয় অস্থায়ী দমকল কর্মীদের স্থায়ীকরণ। সেই দাবি জানানোর সময় ফায়ার স্টেশনে থাকা ডিভিশনাল অফিসার দফায় দফায় বোঝানোর চেষ্টা করেন। বারবার ব্যর্থ হওযার পরেই অস্থায়ী দমকল কর্মীদের ক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। নাকতলা ও টালিগঞ্জের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়, অবরোধের জেরে বাস, লরি, ট্রাক্সির যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
দমকলের কর্তারা মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে মৃত কর্মীর দিদির কথা বলালেও বরফ গলেনি। বারবার কথার মাধ্যমে মৃত কর্মীর তরফে দাবি জানানো হয় চাকরি ও ক্ষতিপূরণ। তারমধ্যে অভিযুক্ত দমকল কর্মীর জামিনের ঘটনায় ক্ষোভ ওঠে চরমে। প্রায় আড়াই ঘন্টা বন্ধ করে রাখা হয় রাস্তা। দেবীকা পাল জানান, জামিন পেয়েছেন বিচার কি হবে? অন্য দমকল কর্মীরা জানান, শনিবারের মত অবরোধ বা বিক্ষোভ তুলে দিলেও আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
Susovan Bhattacharya