#শিলিগুড়ি: দেশজুড়ে শুরু লকডাউন। সাধারণ মানুষকে গৃহবন্দি থাকার পরামর্শ রাজ্য এবং কেন্দ্রের। অহেতুক বাড়ির বাইরে পা ফেলবেন না। ঘরে বসেই কাজ করুন। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে থাকুন। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে হলেই এটাই একমাত্র অস্ত্র। না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি সরকারের। এমনকী জেলও হতে পারে। করোনা সতর্কতায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকবে। তবে দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ান। বার বার বলছে সরকার। তবু যেন একটা আতঙ্ক সাধারণ মানুষদের মধ্যে। করোনা কাঁপুনি! ওষুধের দোকান খোলা থাকবে? এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে জন সাধারণের মুখে মুখে। আর তাই মঙ্গলবার রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করার পর সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গিয়েছে ওষুধের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে পাড়ায় পাড়ায় ওষুধের দোকানে। লম্বা লাইন।
ওষুধ আসবে তো? এলেই বা কোন পথে আসবে? আর তাই ওষুধ কেনার হিড়িক পড়ে যায়। ওষুধের দোকানের কর্তারাও বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গুজব ছড়াবেন না। এই ধরনের পোস্টারও দেখা গিয়েছে কিছু দোকানে। তবু লোক আতঙ্কের ঘোর থেকে বাইরে বের হতে পারছে না। আর তাই লম্বা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে। কিছু দোকানে আবার নিয়মের বালাই নেই।
ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে একে অপরের ওপর। আবার বেশ কিছু দোকানে রাজ্য এবং কেন্দ্রের গাইড লাইন মেনে চলছে। অর্থাৎ দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে বলছে ক্রেতাদের। মানছেন ক্রেতারাও।
নুপুর দাশগুপ্ত নামে এক ক্রেতা জানান, একটু আতঙ্কগ্রস্থ তো বটেই। তবে সতর্ক। সরকারি নির্দেশ মেনে এগোচ্ছি। আর এক ক্রেতা বাপ্পা ঘোষ জানান, খাবার না হলেও চলবে। কিন্তু ওষুধ ছাড়া চলবে না। তাই কষ্ট হলেও লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। দোকানদারদের দাবি, যাবতীয় করোনা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
PARTHA PRATIM SARKAR