#কলকাতা: করোনামুক্ত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সামান্য হলে অবস্থার উন্নতি হয়েছে তাঁর। ফলে সাময়িক স্বস্তি অসংখ্য অনুরাগীদের। বুধবার সকালে ১৪ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বার বর্ষীয়ান অভিনেতার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে এখনও তাঁকে সঙ্কটমুক্ত বলতে রাজি নন বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ফুসফুসের সংক্রমণ আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এরই সঙ্গে লক্ষ্যণীয় ভাবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত যে আশা নিরাশার দোলাচলে ছিলেন চিকিৎসকরা, তারাও চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সুস্থ করে তোলার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে ভাল ঘুমিয়েছেন অভিনেতা। এরপর বুধবার সকাল থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। চিকিৎসকরা ডাকলে চোখ মেলে তাকান। রক্তে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক, তবে সোডিয়ামের মাত্রা কিছুটা বেশি থাকায় চিন্তায় চিকিৎসকরা। লিভার, কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার মিন্টো পার্কের বেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি হন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার রাতেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়। যে কোন সময় ভেন্টিলেশনে দিতে হতে পারে বলে চিন্তা ভাবনা করেন চিকিৎসকরা। পর পর দু'দিন তাকে প্লাজমা দেওয়া হয়। সোমবার রাতে নতুন করে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বাইপাপ ভেন্টিলেশন দিতে হয়।
মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে একসময় তাকে মেকানিকাল ভেন্টিলেশনে দেওয়ার ভাবনা আসে চিকিৎসকদের। যদিও দুপুরের পর লক্ষণীয় পরিবর্তন হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার। বাইপাপ মেশিন খুলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেন শ্বাস-প্রশ্বাস কতটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন সৌমিত্র বাবু। এরপরই চিকিৎসকরা জানান, এই মুহূর্তে ভেন্টিলেশনের কোনও দরকার নেই অভিনেতার। যদিও বুধবার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর চিকিৎসকরা জানান, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল। করোনা ভাইরাস তাঁকে মোটেই কাবু করতে পারেনি।