#মুম্বই: নিসর্গ চলে গেলেও মহারাষ্ট্রের আনাচে কানাচে তার রেশ রয়ে গিয়েছে। বিশেষত আলিবাগ সংলগ্ন বহু অঞ্চলে এখনও চলছে জনজীবন স্বাভাবিক করার কাজ। সেই কাজেই লিপ্ত ছিলেন আরতি রাউত। নিজেও জানতেন না, দু'টি প্রাণ রক্ষা পাবে তাঁর হাতে।
আরতি এবং তাঁর স্বামী রবিবার মুম্বই গোয়া হাইরোডে স্ত্রী বর্ধন অঞ্চলে যাচ্ছিলেন ত্রাণ দেওয়ার কাজে। ৪ জুন থেকেই ওই অঞ্চলে ডিউটি তাঁর। হাইওয়েতে জায়গায় জায়গায় পড়ে থাকা গাছের কারণে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে দেরি হতে পারে ভেবে এদিন তাঁরা একটি শর্টকার্ট নেন। মুরাদ রোডের কাছে দেখেন বেশ কয়েকজন মহিলা একজোট হয়ে হাত দেখিয়ে সাহায্য চাইছে।
এগিয়ে গিয়ে তাঁরা দেখেন,ও এক মহিলার প্রসব যন্ত্রণা উঠেছে। কিন্তু সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।
আর অপেক্ষা করেননি আরতি এবং তাঁর স্বামী মন্দার রাউত। দু'জনে মিলে ওই মহিলা এবং তাঁর দুই আত্মীয়াকে গাড়িতে তুলে নেন।
হাসপাতাল ৬৫ কিলোমিটার দূরে। সেই পথ পাড়ি দিতে একবারও ভাবেননি আরতিরা। তাঁদের কথায়, "আশেপাশের বহু শর্টকার্ট রাস্তা আটকে ছিল। ফলে আমাদের প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। অবশেষে মাশালা অঞ্চলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পেরেছি।"
দু'টি প্রাণ বাঁচিয়েও নিরুত্তাপ আরতি। সামান্য কাধ ঝাঁকিয়ে বলছেন, 'ডিউটি করেছি।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।