#শিলিগুড়ি: লকডাউনের প্রভাব এখনও স্পষ্ট বস্তি ও চা বাগানের শ্রমিক লাইনে । বিশেষ করে জঙ্গল ঘেঁষা বস্তি এলাকায় । অনেকেরই কাজ নেই । আনলক ১.০ চালুর পরও পুরোপুরি জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি । সমস্যায় রয়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মানুষরা । কাজ নেই । ফলে খাবার নেই । এমনকি পরিবারের শিশুকে দু-বেলা খাওয়ানোর মতো ক্ষমতাও নেই ।
রাজ্যে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিললে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলবে । এই অবস্থায় কাজের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে । রেশন থেকে চাল, ডাল, গম মিলছে বটে । কিন্তু শাক, সবজি , জ্বালানি ? কোনওক্রমে দু'বেলা খেতে তো হবে । দুধের শিশুর মুখে কি তুলে দেবেন ? দিনভর এই দুশ্চিন্তায় তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের ।
বিকল্প আয়ের উৎস নেই । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তাও জানা নেই কারও । চা বাগান এবং বনবস্তিবাসীদের সিংহভাগই শহরের ওপর নির্ভরশীল । কিন্তু কাজ নেই শহরেও । তাই তাঁদের দুঃখ ঘোচাতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাথে নিয়ে লড়ছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা সৌমিত্র কুণ্ডু । আজ এই মহল্লায় তো কাল অন্য মহল্লায় । প্রচুর ফোন পাচ্ছেন । নিজের চোখে দেখে এসছেন ওদের করুন অবস্থা । লকডাউনের দিন থেকে সাধ্য মতো করে যাচ্ছেন । আনলক ১ শুরু হওয়ার পর এখন আর দুঃস্থদের খাবার জুটছে না । কিন্তু সংকট যে এখনও কাটেনি । অনেক পরিষেবায় এখনও লকডাউন চলছে ।
শালুগাড়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যান সেবক পাহাড়ের কাছে ১০ মাইল বনবস্তিতে । সেখানকার ১০২ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে এসছেন রেশন সামগ্রী । ক্রিশ্চান ওয়েলফেয়ার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিকে সঙ্গে নিয়ে যান নকশালবাড়ির হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত জাবরা চা বাগানের শ্রমিক লাইনে । চা বাগিচার ১১০ পরিবারের হাতেও পৌঁছে দিয়ে এসছেন শুকনো খাবারের প্যাকেট । কী থাকছে প্যাকেটে ? পরিমাণ মতো চাল, ডাল, রাজমা, লবণ, সোয়াবিন এবং সাবান । আবার কখনও থাকছে আলু, সরষের তেলও!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Lockdown, Siliguri