হোম /খবর /করোনা ভাইরাস /
লকডাউনের প্রভাব কাটেনি, অসহায় মানুষদের নীরবে পরিষেবা দিচ্ছেন শিলিগুড়ির এই ব্যক্তি

লকডাউনের প্রভাব কাটেনি, অসহায় মানুষদের নীরবে পরিষেবা দিচ্ছেন শিলিগুড়ির এই ব্যক্তি

রাজ্যে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিললে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলবে । এই অবস্থায় কাজের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে ।

  • Share this:

#শিলিগুড়ি: লকডাউনের প্রভাব এখনও স্পষ্ট বস্তি ও চা বাগানের শ্রমিক লাইনে । বিশেষ করে জঙ্গল ঘেঁষা বস্তি এলাকায় । অনেকেরই কাজ নেই । আনলক ১.০ চালুর পরও পুরোপুরি জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি । সমস্যায় রয়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মানুষরা । কাজ নেই । ফলে খাবার নেই । এমনকি পরিবারের শিশুকে দু-বেলা খাওয়ানোর মতো ক্ষমতাও নেই ।

রাজ্যে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিললে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলবে । এই অবস্থায় কাজের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে । রেশন থেকে চাল, ডাল, গম মিলছে বটে । কিন্তু শাক, সবজি , জ্বালানি ? কোনওক্রমে দু'বেলা খেতে তো হবে । দুধের শিশুর মুখে কি তুলে দেবেন ? দিনভর এই দুশ্চিন্তায় তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের ।

বিকল্প আয়ের উৎস নেই । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তাও জানা নেই কারও । চা বাগান এবং বনবস্তিবাসীদের সিংহভাগই শহরের ওপর নির্ভরশীল । কিন্তু কাজ নেই শহরেও । তাই তাঁদের দুঃখ ঘোচাতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাথে নিয়ে লড়ছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা সৌমিত্র কুণ্ডু । আজ এই মহল্লায় তো কাল অন্য মহল্লায় । প্রচুর ফোন পাচ্ছেন । নিজের চোখে দেখে এসছেন ওদের করুন অবস্থা । লকডাউনের দিন থেকে সাধ্য মতো করে যাচ্ছেন । আনলক ১ শুরু হওয়ার পর এখন আর দুঃস্থদের খাবার জুটছে না । কিন্তু সংকট যে এখনও কাটেনি । অনেক পরিষেবায় এখনও লকডাউন চলছে ।

শালুগাড়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যান সেবক পাহাড়ের কাছে ১০ মাইল বনবস্তিতে । সেখানকার ১০২ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে এসছেন রেশন সামগ্রী । ক্রিশ্চান ওয়েলফেয়ার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিকে সঙ্গে নিয়ে যান নকশালবাড়ির হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত জাবরা চা বাগানের শ্রমিক লাইনে । চা বাগিচার ১১০ পরিবারের হাতেও পৌঁছে দিয়ে এসছেন শুকনো খাবারের প্যাকেট । কী থাকছে প্যাকেটে ? পরিমাণ মতো চাল, ডাল, রাজমা, লবণ, সোয়াবিন এবং সাবান । আবার কখনও থাকছে আলু, সরষের তেলও!

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Coronavirus, Lockdown, Siliguri