#কলকাতা: অসুস্থ ছেলেকে কে দেখবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা। তার জেরেই সপরিবারে আত্মঘাতী হলেন বেহালার ঠাকুরপুকুরের এক বৃদ্ধ। মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁদেরদেহ উদ্ধার করেন। মৃতরা হলেন, গোবিন্দ কর্মকার(৭০), শ্রী রানু কর্মকার (৬৫), ছেলে বুলা কর্মকার (৪৫)। সুইসাইড নোটে, মৃত্যুর জন্য ছেলের অসুস্থতা ও আর্থিক অনটনকেই দায়ী করেছেন গোবিন্দবাবু।
গোবিন্দবাবুর স্ত্রী রানু কর্মকার (৬৫) অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতারও শিকার ছিলেন তিনি। ছেলে বুলা কর্মকারের(৪৫) কোনও রোজগার ছিল না, তিনিও আংশিক ভাবে পক্ষপাতগ্রস্থ ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মত, সব মিলিয়েই অবসাদে ভুগছিলেন এই পরিবারের সকলে।
কেন আত্মহত্যা করলেন তাঁরা? এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, গোবিন্দ কর্মকারের স্ত্রী রানু কর্মকার কিছুদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। গত রবিবার গোবিন্দবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দেয়। গায়ে জ্বর ছিল বলেই হাসপাতাল নিতে চায়নি, জানান গোবিন্দবাবুর প্রতিবেশীরা। বহু অনুরোধ করেও কোনও সুরাহা না করতে পেরে তাঁরা রোগী নিয়েই বাড়ি নিয়ে চলে আসেন।
সূত্রের খবর, গতকাল থেকেই গোবিন্দ বাবু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।আজ সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করলে কোনও সাড়়াশব্দ না পেলে দরজায় ধাক্কা দেন। তিনজনের নিথর দেখে হতভম্ভ এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ এসে পরিবারের তিনজন সদস্য দেহ উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওঁরা