শিলিগুড়ি: করোনা আবহেই রোগী দেখা প্রায় বন্ধ করে ফেলেছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। করোনা আতঙ্কে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও রোগী রেফারের প্রবণতা অব্যাহত। শিলিগুড়িও এর বাইরে নয়। শহরের দুটি কোভিড স্পেশাল হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আক্রান্তদের চিকিৎসায় লড়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্য কর্মীরা। ইতিমধ্যে মেডিকেল ও কোভিড স্পেশাল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সেরা আক্রান্তও হয়েছেন। আক্রান্তের তালিকায় ল্যাব টেকনিশিয়ান থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও। আবার চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ফের কাজেও যোগ দিয়েছেন। এক স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে। তবু লড়াই থামেনি। এমনই এক যোদ্ধা শিলিগুড়ির বিশিষ্ট চিকিৎসক শীর্ষেন্দু পাল।
শিলিগুডিতে লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই রাস্তায় তিনি। কোনো রোগীকেই ফেরাননি। করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীকেও না। মেনে চলেছেন কোভিড প্রোটোকল। প্রতিদিনই চেম্বার করেছেন। তবে তুলনায় কম সংখ্যক রোগী দেখেছেন। আবার টেলিফোনেও রোগীদের সুস্থ হওয়ার উপায় বলে দিয়েছেন।
তাঁর চেম্বারে রোগী এলে প্রথমে ১৫-২০ সেকেণ্ড হাত স্যানিটাইজ করতে হয়। জুতো চেম্বারের বাইরে রেখে ভেতরে আসতে হবে। যতটা সম্ভব দূরত বজায় রেখে রোগী দেখেছেন। হ্যাণ্ড গ্লাভস, ফেস শিল্ড, এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক পড়েই দেখছেন রোগী। পিপিই কিটও রেডি। প্রয়োজনে পড়তে হয়। তাঁর কথায়, "এই কঠিন সময়েই তো ঝুঁকি নিয়ে রোগী দেখতে হবে। নইলে ওঁরা যে আরও বিপদে পড়ে যাবেন। এটা সমাজের পক্ষে মঙ্গল। এই জন্যেই তো এই পেশায় আসা। এই সময়ে ঘরবন্দি থাকলে ভুল বার্তা যাবে।"
মুমূর্ষ, যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে এমন রোগীদের মুখ ভেসে আসে চোখের সামনে। আর তাই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়া। তিনি জানান, ৩-৪ মিনিট একজন রোগী দেখলে চিকিৎসকের সংক্রমণের সম্ভাবনা কম। আবার রোগী দেখবার পর হাত স্যানিটাইজ করে নিলেই হল। তবে স্টেথোস্কোপ যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা শ্রেয়। করলেও তা স্যানিটাইজ করে নিতে হবে। ডক্টরস ডে'তে এমন অকুতোভয় যোদ্ধাকে কুর্নিশ!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19