মালদহ: লকডাউনে কাজ বন্ধ। নেই রোজগার। প্রথম কয়েক দিনেই সঞ্চয়ও ফুরিয়েছে। কখনও শুকনো খাবার, চাল, আলু ত্রাণে মিললেও সবজি কেনা বা জ্বালানির ব্যবস্থা করার সামর্থ্য নেই আর। অভুক্ত, অনাহারে থাকা এমন পরিবারের জন্যই মুশকিল আসান মালদহের‘ফ্রি-হোটেল’। যেখানে প্রতিদিন কয়েক শো মানুষকে পাত পেড়ে দেওয়া হচ্ছে ভরপেট খাওয়ার। ভাল, ডাল, পাপড়, সবজি,ডিমের ঝোল এবং শেষ পাতে চাটনি। পাতে পড়ছে সুগন্ধী ঘি-ও।
লকডাউনে এমন লোভনীয় খাবারই পাত পেড়ে খাচ্ছেন দিনমজুর, পরিচারিকা, টোটোচালক, ফুটপাত ব্যবসায়ীদের মতো আমআদমি। খাবার খেয়ে, হাত ধুয়ে দিব্যি বাড়ির পথে হাঁটা দিচ্ছেন অর্ধাহারে কাটানো তৃপ্ত মানুষগুলি। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই দৃশ্য রোজ চোখে পড়ছে ইংরেজবাজার শহরের বালুরচরে এক নামী অনুষ্ঠান ভবনে।
এই ভবনেই স্থানীয় ক্লাবের উদ্যোগে চলছে লকডাউনে কাজ হারানো অসহায় মানুষদের জন্য ‘ফ্রি হোটেলে’। দিন আনা, দিন খাওয়া অসহায় মানুষগুলো স্বপ্নেও ভাবেননি এমন দিন আসতে পারে। অনটনই এখন নিত্য সঙ্গী, কবে সুদিন ফিরবে তাও জানেন না। এই অবস্থায় মালদহের বালুরচর এলাকার এমন হতদরিদ্র পরিবারের ঠিকানা এখন ফ্রি হোটেল। স্থানীয় বড় পুজো কমিটি দক্ষিন বালুরচর কল্যান সমিতি এই ফ্রি হোটেল চালু করেছে।
রীতিমতো চেয়ার টেবিল সাজিয়ে, ক্যাটারিং সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে চলছে খাওয়াদাওয়া। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে টেবিল প্রতি মাত্র দুইজনের বসার ব্যবস্থা। এক ব্যাচ খাবার খেয়ে উঠে যাওয়ার পর আর এক দল এসে বসছেন এই চেয়ার টেবিলে। তৃপ্তি করে ভরপেট খাচ্ছেন আট থেকে আশি সকলেই। আর সবটাই সম্পূর্ন নিঃখরচায়। গত রবিবার থেকে মালদহের বালুরচর এলাকায় চালু হয়েছে এই ফ্রি হোটেল। আপাতত এক সপ্তাহ চলবে এই হোটেল। পরীক্ষামূলক এই ফ্রি হোটেল প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ক্লাব সদস্যরাই স্বেচ্ছাই হোটেলের খরচ যোগাচ্ছেন। মালদা শহরে রীতিমতো হইচই ফেলেছে এই ফ্রি হোটেল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Lockdown