#কলকাতা: খাস কলকাতায় এবার ‘করোনা-ফতোয়া’। বাগবাজারের রাজবল্লভপাড়ায় ‘করোনা-ফতোয়া’র কবলে স্থানীয় করোনা আক্রান্তের পরিবার। পরিবারের সদস্যদের দোকান থেকে মাল কিনতে গেলে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, করোনা নেগেটিভ পরিবারের সদস্যকেও মানসিক হেনস্থা করা হয়। গোটা ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কলকাতা পুরসভার হেল্পলাইনে ফোন করলে, সেখান থেকে তাঁদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর কলকাতার রাজবল্লভ পাড়ার ঘোষ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১০। ২১ জুলাই পার্ক সার্কাস নার্সিংহোমে মারা যান পরিবারের সদস্য নিমাই ঘোষ। পরিবারের বাকি ৯ জনকে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ২৩ জুলাই করোনা পরীক্ষায় ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ। ৫ জনই গৃহ পর্যবেক্ষণে যান রিপোর্ট হাতে পেতেই।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, নিরুপম ঘোষ করোনা পজিটিভ আর তাঁর দাদা করোনা নেগেটিভ। তাঁরা প্রত্যেকেই আলাদা ঘরে থাকেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গোল বাধে করোনা নেগেটিভ ব্যক্তিরা বৃহস্পতিবার পাড়ার দোকানে মাল কিনতে গেলে। অভিযোগ, দোকান মালিক তাদের হেনস্থা করে। মাল দিতে আস্বীকার করেন তাঁরা। মিষ্টি দোকান, স্টেশনারি দোকানে এই নিয়ে উত্তেজনা বাড়লে দুই দোকান মালিক জানায়, তাদের স্থানীয় কাউন্সিলরের (ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর) ছেলে শান মিত্র পার্টি অফিস থেকে করোনা পরিবারের সদস্যদের জিনিস বিক্রি করতে না করেছেন।
কিন্তু করোনা নেগেটিভ ব্যক্তি মাল বিক্রিতে বাধা কোথায়? মুদি দোকানের মালিক দীপা পাল বলেন, করোনা সংক্রমণ আটকাতেই সম্ভবত এই কাজ। যদিও দোকান মালিক জানান, ঘোষ পরিবারের সদস্যরা যা চেয়েছিলেন, সবই দেওয়া হয়েছে। এ দিকে মিষ্টির দোকান খোলা থাকলেও মালিককে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত কাউন্সিলর ছেলে শান মিত্র সাফাই, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। করোনা আক্রান্তেরা বাইরে বেরোলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। তাই এভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম।
ARNAB HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Kolkata