#মুম্বই: ভারতে দ্বিতীয় দফার করোনাভাইরাসের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। নাম নথিভুক্ত করে ৬০ বছরের উপরে প্রবীণ এবং ৪৫ বছরের উপরে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে পয়লা মার্চ ২০২১ থেকে। এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত আতঙ্কের খবর পাওয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইতে। সেখানে ৪৫ বছরের এক প্রৌঢ় করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর মঙ্গলবার মারা গিয়েছেন। যদিও মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা।
ভিওয়ান্ডির বাসিন্দা সুখদেব কিরদাত নামের ওই ব্যক্তি একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের গাড়িরচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি নেওয়ার ১৫ মিনিট পরেই জ্ঞান হারান তিনি। এবং কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে ঘোষণা করেছেন ডাক্তারেরা। স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে তিনি গত ২৮ জানুয়ারি প্রথম করোনা টিকা নিয়েছিলেন।
হাসপাতালের ডাক্তার কে আর কারাতের মন্তব্য, 'এক মাস আগে উনি তাঁর প্রথম করোনার টিকা নিয়েছিলেন। তখন কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর। টিকা দেওয়ার আগে তাঁর সম্পূর্ণ চেক-আপ করা হয়েছিল। বহু বছর ধরে তাঁর রক্তচাপের সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল রিপোর্টে। পায়ে সামান্য ফুলে গিয়েছিল। কিন্তু রক্তচাপ এবং শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ একেবারেই স্বাভাবিক ছিল সেদিন।'
দেশের নাগরিকদের দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহ করেছে সরকার, তাই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় টিকাকরণ কর্মসূচিতে কোনও রকম ঘাটতি হবে না। সোমবার এ কথাও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি আরও বলেছেন যে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে ভারত। দিনে দিনে এই কর্মসূচি আরও ব্যাপক হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ টিকা নেবেন বলে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন বলে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। দেশে দুটি করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড।