#কলকাতাঃ কিছুদিনের মধ্যেই প্রথমবার পিতৃত্বের স্বাদ অনুভব করতেন। স্বামী-স্ত্রী মিলে সেই দিনটাই গুনছিলেন একটা একটা করে। কিন্তু মারণ ভাইরাস ভেঙেচুরে তছনছ করে দিল সব স্বপ্ন। যে বাড়িতে সকাল হত ক্যালেন্ডারের পাতার দিকে তাকিয়ে, বাড়িতে নতুন অতিথি আসার দিন গুনে, সকাল থেকে সেই বাড়িতেই কান্নার শব্দে কান পাতা দায়। যিনি সকাল থেকে রাত সদ্যোজাত শিশুদের সমস্ত জটিল রোগের চিকিৎসা করে তাদের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতেন, নিজের সন্তানের মুখ দেখার সৌভাগ্যই হল না তাঁর।
বাড়িতে ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। তাই ভয়েই থাকতেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এসএনসিইউ-র (Special Newborn Care Units বা SNCU) মেডিক্যাল অফিসার তরুণ চিকিৎসক সন্দীপন মণ্ডল (৩৭)। কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি যে হতে পারে, তা হয়ত তিনি দুঃস্বপ্নেও একবারের জন্যেও ভাবেননি। আজ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
এ দিন কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই বিশিষ্ট চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে একজন কলকাতার স্বনামধন্য প্যাথলজিস্ট সুবীর দত্ত। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ৮৫ বছর বয়সী প্রবীণ এই প্যাথলজিস্ট গত ২৫ এপ্রিল থেকে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সেদিন থেকেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।কলকাতার তালতলায় বেসরকারি নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র সায়েন্টিফিক ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন সুবীর দত্ত। প্রসিদ্ধ ওই প্যাথলজিস্টকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান রাজ্যের চিকিৎসক মহল। এক সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগের ডিনও ছিলেন সুবীর বাবু। জাতীয় স্তরেও নানা ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
অপরদিকে, করোনা আক্রান্ত আরও এক চিকিত্সকের মৃত্যু হয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতালে। উত্পল সেনগুপ্ত নামে ওই চিকিত্সক বারাসাত হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। দিন কয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছিল আরও দুই ডাক্তার বাবুর। ওই দুজন হলেন বিশিষ্ট ক্যানসার রোগ বিশেষজ্ঞ জি এস ভট্টাচার্য ও আসানসোল জেলা হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের প্রধান অলোক মুখোপাধ্যায়।
Avijit Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Doctors Death