#ইতালি: গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের জেরে মৃত্যু মিছিল ৷ দেশ-বিদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর হার ৷ ভারতে এখন করোনা আক্রান্তের হার বেড়ে ৩১৫ ৷ ঠিক এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হল একটি মেয়ের পোস্ট ৷ যেখানে ২২ বছরের করোনা আক্রান্ত হওয়া একটি মেয়ে জানালেন ঠিক কীভাবে তাঁর শরীরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ল করোনা ভাইরাস ৷ মেয়েটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লিখলেন, ‘আমি চাই সবাই সচেতন হোক ৷ আর সেই কারণেই আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম৷’
২২ বছরের বোজান্ডা হালিটি ইতালির বাসিন্দা ৷ তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি ট্যুইটারে জানালেন, একেকটা দিন কীভাবে করোনা তাঁর শরীরের ছড়িয়ে পড়েছিল ৷
বোজোন্ডা লিখলেন, ‘প্রথম দিন ৷ গলার কাছে শুকনো কফ এসে বাসা বেঁধেছিল ৷ ভেবেছিলাম এমনি ঠান্ডা লেগেছে ৷ তাই পাত্তা দিই না ৷ নিজেকে খুব ক্লান্তও লাগছিল ৷’
I’m 22 years old and I tested positive for COVID-19. I’ve been debating on posting, but I want to share my experience especially with those around my age to help bring awareness, and to relieve any stress/anxiety some may have due to the pandemic.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
‘দ্বিতীয় দিন মাথাটা ভার লাগছিল ৷ ব্যথাও ছিল ৷ গলা একেবারে চোকড ছিল ৷ গলার কাছে এসে যেন কফ জমে কঠিন লোহা হয়ে গিয়েছিল ৷ জ্বরও আসে আমার ৷ চোখ লাল হয়ে যায় ৷’
‘তৃতীয় দিন, মাথা, গা-হাত পা ব্যথা বাড়তে থাকে ৷ চোখ আরও লাল হয়ে যায় ৷ জ্বরও বাড়ে ৷ প্রথমে ভেবেছিবাম এটা মাইগ্রেন৷ ’
‘চতুর্থ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই থাকে ৷ এই অবস্থায় আমি ডাক্তার দেখাই ৷ আমার সব রকমের পরীক্ষা হয় ৷ কিন্তু সব রকমের রিপোর্ট নর্মাল আসে৷ আমি কয়েকটা অ্যান্টিবায়োটিক নিই ৷ এবং ঠিকও হয়ে যাই’
‘পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিন ওষুধ নেওয়ার ফলে সুস্থ বোধ করি ৷ এনার্জি লেভেলও বেড়ে যায় ৷ তবে হঠাৎই শ্বাস কষ্ট শুরু হয় ৷ তখনই আমি করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিই৷ নিজেকে সবার থেকে আইসোলেটেড করে রাখি ৷ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিই ৷ আমি এখন সুস্থ৷ তাই সবাইকে বলি, উপসর্গ দেখা দিলে ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ৷ চিকিৎসক যা বললেন তা মেনে চললে সহজেই আমরা করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারব ৷’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Twitter