#সিমলা: যেতে হবে বরফের পুরু চাদরে মোড়া লাহুল উপত্যকা থেকে মান্ডিতে। পাহাড়ি পথে যে সব গাড়ি চলে, তাতে করেও এতটা পথ পাড়ি দেওয়া মুখের কথা নয়। অ্যাম্বুলেন্স তো কোন ছার! কেন না বরফের উপর দিয়ে চলার জন্য তৈরিই হয়নি এ গাড়ির মডেল! অথচ সেই অ্যাম্বুলেন্স করেই হিমাচল প্রদেশের দুই কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত রোগীকে যে ভাবে লাহুল থেকে মান্ডিতে নিয়ে গেলেন চালক আর তাঁর সহকারী, সে কথা এখন সবার মুখে মুখে ফিরছে!
কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে দেশের অনেক হাসপাতালের অবস্থা আপাতত বিধ্বস্ত। কোথাও চিকিৎসার উপযুক্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ ফুরিয়ে আসছে, কোথাও বা আবার স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না রোগীদের। এ রকম পরিস্থিতিতেই হিমাচল প্রদেশের দুই কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত রোগীকে অধিকতর সুষ্ঠু চিকিৎসার লক্ষ্যে মান্ডির নের চক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করাটা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
আর সেখান থেকেই দেখা দেয় সমস্যা! যে হেতু রোগীদের শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার উপযুক্ত নয়, সেই দিকটা তো বটেই, পাশাপাশি কোভিড ১৯ প্রাথমিক ব্যবহারিক স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে একমাত্র ১০৮ ন্যাশনাল অ্যাম্বুলেন্সই ব্যবহার করতে হবে। ও দিকে ক্রমাণ্বয়ে বরফ পড়ার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে মানালি-অটল টানেল-কেলং হাইওয়ে।
কিন্তু কর্তব্য পালন করার ব্যাপারে অ্যাম্বুলেন্স চালক মনোজ এবং তাঁর সহকারী জয় যে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি, সে কথা বার বার সংবাদমাধ্যমকে বলছেন ১০৮ ন্যাশনাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আশিস শর্মা। তিনি জানিয়েছেন যে সবটা শোনার পরেই এই দীর্ঘ যাত্রাপথে দুই রোগীকে নিয়ে পাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুত হয়ে যান তাঁরা!
খবর বলছে, এই যাত্রাপথে মাঝে মাঝেই গাড়ি থামিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পুরু বরফ কেটে পথ প্রশস্ত করতে হয়েছে মনোজ এবং জয়কে। তার পরেও যাতে গাড়ির চাকা পিছলে না যায়, সে জন্য তাঁরা টায়ারের সঙ্গে স্নো চেন বেঁধে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কখনও বা আবার খুব সাবধানে বরফের উপর দিয়ে গাড়ি ঠেলে নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। কিন্তু মনোজ এবং জয় দমে যাননি। এ ভাবেই সোলাং উপত্যকা পর্যন্ত পথের বাধা জয় করে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সন্দেহ কী, তাঁদের এই উদ্যম দেশবাসীকে গৌরবাণ্বিত করবে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।