#বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এগারো হাজার ছাড়িয়ে গেল।জেলার বেশ কিছু এলাকায় এখনও ব্যাপকভাবে সংক্রমণ চলছে। সেই সব এলাকা থেকে প্রতিদিনই নতুন করে বেশ কয়েকজন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে। করোনার সংক্রমণে রাশ টানা না যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সেই সব এলাকার বাসিন্দারা। জেলার প্রায় সব প্রান্ত থেকেই প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক অবস্থা বর্ধমান শহরের। সেখানে প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যায় পুরুষ-মহিলা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদিন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১১ হাজার ৫১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে ১০ হাজার ৩১৩ জন চিকিৎসার পর ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৫৭২ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগকে করোনা হাসপাতলে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। এদিন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই এই সময় সচেতন না থাকলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বাড়ে। জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। তাই এই সময় আরও বেশি সাবধান থাকা প্রয়োজন। করোনার সংক্রমণ এড়াতে মাস্কে মুখ ঢাকা জরুরি। বাইরে বেরোলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।সেইসঙ্গে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেশি সময় না কাটানো উচিত বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০জন বর্ধমান পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও কালনা পৌরসভা এলাকা ও কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় দু’জন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মেমারি পৌরসভা এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন। বর্ধমান এক নম্বর ব্লক ও বর্ধমান দু'নম্বর ব্লকে দুজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও আউশগ্রাম দু'নম্বর ব্লক, গলসি দু নম্বর ব্লক, মন্তেশ্বর, মেমারি এক নম্বর ব্লক ও রায়না দু'নম্বর ব্লকে দুজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কালনা দু'নম্বর ব্লকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। এছাড়াও ভাতার কালনা এক নম্বর ব্লক, মেমারি দু'নম্বর ব্লক, মঙ্গলকোট,পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লক ও রায়না দু'নম্বর ব্লকে একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।