#কলকাতা: সকাল ৯টায় হাজরা মোড়ে ' অনারিয়াম হেল্থ ওয়ার্কার ' এর কর্মীরা তাদের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করে। মিছিল হাজরা মোড় ঘোরার আগেই পুলিশ আটকে দেয়।বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হওয়ার পর, প্রায় জনা পঞ্চাশেক আন্দোলনকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আন্দোলনকারীদের দাবি,তাদের মত ভুক্তভোগী দশ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী আছে সারা পশ্চিমবঙ্গে।
তাদের দাবি, করোনার সময়, করোনা রোগীদের নিয়ে কাজ করেছে।প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।যারা হোম আইসিলেশনে ছিলেন,তাদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। এতো করেও তাদের বেতন মাসে ৩১২৫ টাকা । তাদের দাবি, লকডাউন চলাকালীন যাদের কোভিড ওয়ারিয়র হিসাবে নেওয়া হয়েছে,তাদের বেতন ১০ হাজার টাকা। আরও সুবিধা রয়েছে।কিন্তু এই স্বাস্থ্য কর্মীদের ১০০ টাকা রোজে কাজ করানো হচ্ছে বলে দাবি ওদের। ওই মিছিলে শিপ্রা লোধ (৬৩) এসেছিলেন ।তিনি একসময় স্বাস্থ্য কর্মী ছিলেন।দীর্ঘ্য পঁচিশ বছর কাজ করার পর,একটি ফোনে তার চাকরি থেকে অবসর হয়েছিল। অবসরকালীন এক টাকাও পাননি তিনি।বর্তমানে তিনি ভিক্ষা বৃত্তি করে জীবন নির্বাহ করেন।ওদের দাবি,বছরে নিয়ম মাফিক মাহিনা বাড়াতে হবে।চাকরির মেয়াদ ৬৫ বছর অবধি করতে হবে।অবসরের সময় এককালীন টাকা দিতে হবে।
হাজরা মোড়ে মহিলা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, ও গ্রেফতারের সময় সুচেতা কুন্ডু নামে আন্দোলনকারীদের নেত্রী,যিনি ক্যান্সার রোগী।তাকে যেভাবে অমানবিক ভাবে রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়েছিল,তাতে মহিলারা চোখের জল ফেলেছিলেন। তারা বারবার বলছিলেন, 'আমরা কাজ করি।তাই যোগ্য পারিশ্রমিকে, খেয়ে বাঁচতে চাই।' সেই অশ্রু সিক্ত আবেদন,জুতো ঘসা রাস্তায় মুছে গেছিল সকালে।হতাশার চোখ গুলো হাজরা মোড়ের দিকে তাকিয়ে ছিল , তারের জালের ভেতর দিয়ে। ৫০জন মহিলাকে নিয়ে গাড়ি এগিয়ে গেল লালবাজারের দিকে। ক্ষুধার্তের আন্দোলনের চিৎকার কখনো ঘুমন্ত রাজার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনা।বিস্ফারিত চোখ গুলো বোধ হয়,এটাই বলছিল।
SHANKU SANTRA