#কোচবিহার : রাজ আমলের সময়ের গ্রামীণ হাট কোচবিহার ডোডেয়ার হাট। এই হাটের বেহাল দশার কারণে দিনে দিনে ক্ষোভ জমছে এখানকার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। এবং হাটে জিনিস পত্র কিনতে আসা মানুষের পড়ছেন বিপাকে। হাটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়েছে বহুবার। কিন্তু তারাও কোন সমাধান করে উঠতে পারছেনা বলে অভিযোগ জানান, হাটের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে হাটের বিভিন্ন শেড নির্মাণের কাজ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলার পরেও কাজটি সম্পন্ন করে উঠতে পারছে না ঠিকেদারি সংস্থা। আর তার ফলে হার্টের বিভিন্ন অংশে মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে এবং ভাঙ্গা অবস্থা তবে বিভিন্ন জায়গা। এই কারণের জন্য সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটের মধ্যে জমে যাচ্ছে জল। এবং মানুষ আনাগোনার ফলে সেখানে তৈরি হচ্ছে কাদা। এছাড়া হাটের কিছু দোকানদার যারা মূলত খাবারের হোটেলের ব্যবসা চালায়। তাদের দোকানের ব্যবহৃত জল সঠিকভাবে নিকাশি হতে পারছে না। সেই জল জমে গিয়ে তৈরি হচ্ছে দুর্গন্ধ। আর এই দুর্গন্ধের মধ্যেই ব্যবসায়ীদের করতে হচ্ছে দোকান। এছাড়া গোটা হাটে নেই পর্যাপ্ত শৌচালয় ব্যবস্থা।
একটি শৌচালয় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অপর একটি শৌচালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার লোক না থাকার কারণে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। গোটা বিষয় নিয়ে খুব উগরে দিয়ে প্রণব বর্মন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই কষ্ট এবং যন্ত্রণা ভোগ করছি। কাউকে বলে কোন লাভ হচ্ছে না। আমরা আর কাকে কাকে বলবো বলুন? প্রায় সম্পূর্ণ হাটের মধ্যে জমে রয়েছে কাঁদা। সঠিক নিরাশিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে ব্যবহৃত নোংরা জল জমে গিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি হচ্ছে। এছাড়া নেই পর্যাপ্ত শৌচালয় ব্যবস্থাও।
আরও পড়ুনঃ কলেজকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি! পোস্টার পড়ল ক্যাম্পাসেএই সকল সমস্যার কারণে হাটের মধ্যে মানুষের আনাগনাও কমে গিয়েছে। এভাবে কি ব্যবসা করা যায়?" হাটের রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির ইনচার্জ বাধন চন্দ্র লাহিড়ী জানান, "উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে হাটের যে কাজটি করানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপের শেষ হয়নি। আর তার ফলে যত বিপত্তি। এই কাজটি কত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে পারলে হাটের সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে। এবং ব্যবসায়ীরা আবার পুনরায় স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা করতে পারবেন।"
আরও পড়ুনঃ আটকে দেওয়া হয়েছে সাগরদীঘির সমস্ত ঘাট! ভীড় কমছে সাগরদীঘি চত্বরে!এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুব্রত আচার্য বলেন, "এই ডোডেয়ার হাটের নাম পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে অন্যতম। তবে এই হাটের বর্তমানে তৈরি হওয়া সমস্যা গুলির কারণে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষকে। আমরা আশা রাখবো দ্রুতই সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। এবং হাটের পুরনো রূপ হাটটি ফিরে পাবে।" বর্তমানে হাটের ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ মানুষেরা এ ভোগান্তির অবসানের দিন গুনছেন। তবে এ ভোগান্তি সম্পূর্ন অবসান হবে কবে? তা সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না কেউই।
Sarthak Panditনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar